ফেনী শহরের বারাহিপুর এলাকায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত : ২১ অক্টোবর ২০২১

ফেনী শহরের বারাহিপুর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে তাহমিনা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্বামী ওবায়দুল হক টুটুলকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) ফেনী জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা এ আদেশ দেন। দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি হাফেজ আহম্মদ জানান, মামলার বাদী ন্যায়বিচার পেয়েছে। আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এর আগে তাহমিনার পিতা সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার পুলিশের এসআই মো. ইমরান হোসেন গত বছরের ১১ নভেম্বর টুটুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর গত ১১ ডিসেম্বর একমাত্র আসামি ওবায়দুল হক টুটুলকে অভিযুক্ত করে এ মামলার চার্জ গঠন করা হয়। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি শুরু হয় মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) টুটুলের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর হাফেজ আহম্মদ ও বাদীপক্ষের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল স্ত্রী তাহমিনাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ওবায়দুল হক টুটুল। হত্যার দিন ফেসবুক লাইভে এসে টুটুল জানান, পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি স্ত্রীকে হত্যা করছেন। এ সময় তার শিশুকন্যাকে দেখভালের জন্য তিনি সবার কাছে অনুরোধ করেন এবং হত্যার ঘটনার জন্য মাফও চান। এর প্রায় ৫ বছর আগে ফেনী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড বারাহিপুর এলাকার গোলাম মাওলা ভূঁঞার ছেলে ওবায়দুল হক ভূঁঞা টুটুলের সঙ্গে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আকদিয়া গ্রামের সাহাব উদ্দিনের মেয়ে তাহমিনা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তাফান্নুন আরোয়া মায়োস নামে দেড় বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :