স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দীঘিনালায় আনসার ব্যাটালিয়নের পতাকা র‌্যালি

প্রকাশিত : ২ ডিসেম্বর ২০২১

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দীঘিনালায় ৩ আনসার ব্যাটালিয়ন পতাকা র‌্যালি করেছে। গত বুধবার (০১ ডিসেম্বর/২১ইং) ছোট মেরুং ৩ আনসার ব্যাটালিয়ন সদর দফতর থেকে র‌্যালি শুরু হয়। র‌্যালীটি উপজেলার ছোট মেরুং বাজার প্রদক্ষিণ শেষে ৩ আনসার ব্যাটালিয়নে গিয়ে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন, ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক চন্দন দেবনাথ ।

এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সম্মানিত মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, বিপি. ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি মহোদয়ের নির্দেশনা ও নেতৃত্বে আমরা সারাদেশব্যাপী স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এর জন্মশত বার্ষিকী (মুজিব বর্ষ) ও আমাদের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি। একই সাথে আমাদের মহান নেতার জন্মশত বার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার গৌরবময় ৫০ বছর পূর্তী উপলক্ষে আমরা বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক আরও বলেন ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার মহান ঘোষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ডাকে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ শহীদের প্রাণ ও ০২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা মহান বিজয় লাভ করি। স্বাধীনতার এই ৫০ বছরে বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তসরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। আপনারা জানেন বাংলাদেশের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী আইন শৃংঙ্খলা রক্ষা, সারাদেশব্যাপী নিরাপত্তা প্রদান, বেকার যুবক ও যুবতীকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস।

আপনারা জানেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ৪০ হাজার রাইফেল নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। যা হানাদার বাহিনীকে রুখে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল আনসার প্লাটুন কমান্ডার ইয়াদ আলীর নেতৃত্বে ১২ জন আনসার সদস্য মুজিব নগর সরকারকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে আনসার বাহিনীর ০৯ জন কর্মকর্তা ও জন কর্মচারী এবং ৬৫৭ জন আনসার সদস্যসহ মোট ৬৭০ জন শহীদ হন। এ বাহিনীর ০১ জন বীরবিক্রম এবং ০২ জন বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত হন।

বর্তমানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৬১ লক্ষ সদস্য বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে অনবদ্য ভূমিকা রেখে চলেছ। উল্লেখ্য স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলা কার্যালয়ে/ইউনিটে একযোগে ৫০ জন বিভিন্ন পদবির কর্মকর্তা কর্মচারী ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য ৫০ মিনিটব্যাপী ৫০ টি জাতীয় পতাকা নিয়ের্ র্যালী আয়োজন করে।

আপনার মতামত লিখুন :