কক্সবাজারে ঘটনার প্রভাব পরেনি কুয়াকাটায়: সৈকতে পর্যটকদের ঢল

প্রকাশিত : ২৫ ডিসেম্বর ২০২১

কলাপাড়া (পটুয়াথালী) প্রতিনিধি: বইছে দখিরে হিমেল হাওয়া। এরমধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসা পর্যটকদের সমুদ্রে উম্মাদনা। পর্যটকদের আগমনে এখন মুখতির কুয়াকাটার সৈকত। কেউ সমুদ্রে অবস্থান করছে, কেউ কেউ বালিয়াড়িতে দৌঁড় ঝাপ দিচ্ছে। কেউবা আবার সৈকতে বেঞ্চিতে বসে সমুদ্রের বিশালতায় নিজেদেরকে প্রকৃতির সাথে বিলীন করে দিয়েছে। তবে কক্সবাজারে ঘটনায় তেমন কোন বিরুপ প্রভাব পরেনি কুয়াকাটায়। সরকারী দুই দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে সৈকতে এসব পর্যটকের আগমন ঘটেছে।

এসব পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট, মহিপুর থানা পুলিশ দর্শনীয় জোনগুলোতে টহল অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয়রা জানান, পুরো সৈকতজুড়ে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত। দর্শনীয় স্থানগুলোতে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি রয়েছে চোখে পড়ার মত। পর্যটকদের সমাগমকে ঘিরে কিছু হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের অসহায়ত্ব পুঁজি করে মাত্রাতিরিক্ত হোটেল রুম ভাড়াসহ খাবারের দাম আদায় করছে এমন অভিযোগও রয়েছে। অধিকাংশ হোটেল মোটেল বুকিং রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

পর্যটক নাসরিন বলেন, এখানকার সবকিছুই আমাকে বিমোহীত করেছে। তবে মনে হয়েছে হোটেলের ভাড়াটা একটু বেশি নিয়েছে। আর খাবারের গুণগত মান নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন। পর্যটক মৌসুমী আক্তার বলেন, গত দু’দিন আগে এখানে এসেছি। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখেছি। খুবই ভাল লেগেছে। তবে দর্শনীয় স্থানে যাতায়াতের সড়কগুলো বেহাল দশা। এগুলো দ্রæত সংস্কার ও মেরামত করা প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন তিনি।

কুয়াকাটা সী-ট্যুর এন্ড ট্রাবেলস’র ব্যবস্থাপক মো.হেসাইন আমির বলেন, পায়রা সেতু উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকেই কুয়াকাটায় পর্যটকদের ব্যাপক চাপ রয়েছে। আমরাও চেষ্টা করছি আগত পর্যটকদের সেবা দিতে। তবে কক্সবাজারে ঘটনায় কোন প্রভাব পরেনি কুয়াকাটায়।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনে সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক বলেন, আগত সকল পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা মুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।এছাড়া বেকয়েকটি টিম দর্শনীয় স্থানগুলোতে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদেও জানিয়েছেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :