ময়মনসিংহে হত্যার পর পুড়িয়ে দেওয়া হলো কিশোরীর লাশ

প্রকাশিত : ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের কদম রসুলপুর গ্রামে মারুফা খাতুন নামে এক কিশোরীর দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ওই কিশোরীর বাড়ির পাশের একটি বাঁশঝাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মারুফা রসুলপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের মেয়ে। সে পার্শ্ববর্তী ত্রিশাল উপজেলার রায়গ্রামের আইয়ুবিয়া দাখিল মাদরাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।

গফরগাঁও থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতের খাবার খেয়ে মারুফা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ঘুমাতে যায়। ভোরে পরিবারের সদস্যরা টের পায় মারুফা ঘরে নেই। পরে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে বাড়ি থেকে চারশ গজ দূরে চৌরাভিটা নামক বাঁশঝাড়ে মারুফার মরদেহ আগুনে পোড়া অবস্থায় পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

ওসি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ওই কিশোরীকে হত্যার পর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হচ্ছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

এর আগে, ময়মনসিংহে হাত-পায়ের রগ কাটা এক তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ব্রাহ্মপল্লীর লালু মিয়ার গলি এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম সালমা আক্তার। ২২ বছর বয়সী সালমা জেলার ধোবাউড়ার উপজেলার সানাউল্লাহর মেয়ে। তিনি স্বামী রাজিব মিয়ার সঙ্গে লালু মিয়ার গলি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :