গলাচিপায় অন্যের জমি দখল করে ঘর উত্তোলণের অভিযোগ

প্রকাশিত : ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় অন্যের জমি দখল করে ঘর উত্তোলণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মো. হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে জেলা পুলিশ সুপারের বরাবরে ও গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। সরেজমিনে, গিয়ে দেখা যায় গোলখালী ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের মো. আমির হোসেন, আখিনুর বেগম, মোসা. হাসিনা, কাকলি বেগম, আনোয়ারা বেগম, পারভীন বেগম জোর পূর্বক মো. হাবিবুর রহমান এর জমিতে ঘর উত্তোলন করে।

এ ব্যাপারে মো. হাবিবুর রহমান (৫৫) জানান, আমার ক্রয়কৃত ভোগ দখলীয় ১৪ শতাংশ জমিতে জোর করে আমির হোসেন গং সহ সকলে মিলে ঘর তুলতেছে। যার জে.এল নং- ১০৯, খতিয়ান নং- ৫৩, দাগ নং- ১৯৬। তারা ১৫ থেকে ২০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে আমার জমিতে জোর করে ঘর উত্তোলন করছেন। আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে এবং রাত্রে আমার বাড়িতে অনেক লোকজন আসা যাওয়া করেন।

এখন আমার জীবন হুমকির মুখে আছে। তারা সমাজের আইন-কানুন, বিচার-ব্যবস্থা কিছুই মানে না। এ বিষয়ে হাবিবুর রহমানের ভাই মো. গোলাম ফারুক বলেন, আমার বাবা তাদের কাছ থেকে এই জমি ক্রয় করে। আমাদের কাছে আমাদের নামে ওই জমির দলিল পর্চাসহ সকল কাগজপত্র আছে। এ বিষয় নিয়ে একাধিকবার সালিশের ব্যবস্থা করা হলেও তারা কোন বিচার মানে না। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আমির হোসেন ও আখিনুর বেগম জানান, এ জমি আমাদের।

আমরা জমি বিক্রি করি নাই। তাই আমরা ঘর তুলেছি। এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য মো. মনির হোসেন হাওলাদার বলেন, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বসা হলেও কোন সুরহা হয় নাই। দুপক্ষ এক হলে প্রয়োজনে তাদেরকে নিয়ে আবার বসা হবে। গোলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. হালিম হাওলাদার বলেন, আমাদের বাবা-চাচাদের কাছ থেকে হাবিবুর রহমানের বাবা নুর মোহাম্মদ মিয়া এই জমি ক্রয় করেন।

গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। দু’পক্ষকে ডেকে মীমাংসার ব্যবস্থা করব। এ বিষয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এআরএম শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, অভিযোগ পাওয়ায় ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করে এসেছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :