লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবি ধলেশ্বরীতে আরো ২ লাশ

প্রকাশিত : ১০ জানুয়ারি ২০২২

নারায়ণগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির পাঁচ দিনের মাথায় ভেসে উঠেছে আরো দুই লাশ। নিখোঁজ আরো চারজনকে খুঁজছে উদ্ধারকারী দল। তাদের সঙ্গে নিখোঁজদের স্বজনরাও নদীতে নেমেছেন ট্রলার নিয়ে। রোববার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ মা-মেয়েসহ চারজনের লাশ ভেসে ওঠে। পরবর্তীতে বিকেলে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ ঘাট সংলগ্ন নদীতে আরো দুজনের লাশ উদ্ধার হয়।

উদ্ধার মরদেহগুলো হলো জেসমিন আক্তার (৩২), তার মেয়ে তাসমিম আক্তার (২), কলেজছাত্র সাব্বির হোসেন (১৯), গার্মেন্টস শ্রমিক জ্যোস্না বেগম (৩৩), আওলাদ হোসেন (২৭) ও মোতালেব মিয়ার (২৫)। নিহত গৃহিণী জেসমিন আক্তারের ভাই বিল্লাল হোসেন জানান, লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির পর থেকে প্রতিদিন তারা ট্রলার নিয়ে ধলেশ্বরী নদীতে স্বজনদের খোঁজ করছিলেন। রোববার সকালে ট্রলার দিয়ে খুঁজে দেখার সময় তারা সিপাহি বাড়ি ঘাটে দু’টি ভাসমান লাশ দেখতে পান। আর বাকি দু’টি লাশ পাওয়া গেছে বক্তাবলি ঘাট এলাকায়। তাদের আরো দু’জনের এখনো খোঁজ মিলছে না।

বুধবার এমভি ফারহান-৬ নামের লঞ্চের ধাক্কায় প্রায় ৭০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। তখন থেকে অন্তত ১০ যাত্রী নিখোঁজ ছিলেন। ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল টানা চার দিন চেষ্টা করেও নিখোঁজ কাউকে পাননি। পঞ্চম দিনের উদ্ধার অভিযান শুরু হওয়ার আগে স্বজনরাই নিখোঁজ চারজনকে খুঁজে পান। এদিকে বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) ট্রলারডুবির ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের নৌনিরাপত্তা বিভাগের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বাবু লাল বৈদ্য।

মামলায় আসামি করা হয়েছে মেসার্স ফারহান নেভিগেশনের এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ ড্রাইভার মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া (৪০) ও সুকানি মো. জসিম মোল্লাকে (৩০)। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :