শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত : ১১ জানুয়ারি ২০২২

দেশে কয়েক দিন ধরে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত কয়েক দিন ধরে শনাক্ত হাজারের ওপরে। এমন অবস্থায় শিক্ষপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সোমবার (১০ জানুয়ারি) সকালে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হচ্ছে না। আমরা স্বাস্থ্যবিধির ওপর জোর দিচ্ছি। পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে পরবর্তীতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে। ১২ জানুয়ারির মধ্যে যারা এক ডোজ টিকা দিয়েছে তারা ক্লাসে আসবে, বাকিরা অনলাইনে ক্লাস করবে আর অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেবে। সবার অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়া হলে তারপর থেকে তারা সশরীরে ক্লাস করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছিলাম তার থেকে আমরা এখন ভালো অবস্থায় আছি। তখন কোনো টিকা ছিল না, এখন প্রায় সবাই টিকার আওতায় চলে এসেছে। এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি জোরদার করা হবে। সীমিত পরিসরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলবে। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ৯৫ ভাগের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ডা. দীপু মনি।

এর আগে গতকাল ৯ (রবিবার) রাতে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা শিক্ষামন্ত্রীকে নানান ধরনের পরামর্শ প্রদান করেন। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনেশনের প্রতি জোর দেওয়া হবে; যারা টিকা নিয়েছে তারা সশরীরে ক্লাসে উপস্থিত হবে; যারা এখনো টিকা নিতে পারেনি তারা বাসায় বসে অনলাইনে ক্লাসে যুক্ত হবে।

এ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা সম্ভব না হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আপাতত তাদেরও ক্লাস চলমান থাকবে। এদিকে গত শনিবার (৮ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় সব শিক্ষার্থীর টিকাদান কার্যক্রম শেষ হবে এবং এরপর থেকেই টিকা না নেওয়া শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না। প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বন্ধের পর গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :