সাপাহারে বিএমডিএ’র গভীর নলকূপ অপারেটরের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ


প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারি ২০২২

হাফিজুল হক সাপাহার নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহার উপজেলা সুন্দরইল মৌজার আওতাধীন বিএমডিএর এলএলপি সেচ প্রকল্পের অপারেটরের ও একই মৌজার দুইটি গভীর নলকূপের অপারেটরের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ দায়ের করেছে গ্রামবাসী। গ্রামবাসীর পক্ষে রবিউল ইসলাম ও জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে পৃথক দুইটি অভিযোগ সহকারী প্রকৌশলী বিএমডিএ সাপাহার জোন বরাবর দাখিল করেছে।

৫৭ জন স্বাক্ষরিত এ অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে এলএলপি সেচ প্রকল্পের অপারেটর গৌরীপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেন সরকারের ছেলে ফারুক হোসেন ৬ লক্ষ টাকা কৃষকদের নিকট হইতে অফিস খরচ নাম ভাঙ্গিয়ে জোরপূর্বক উত্তোলন করে আত্মসাত করেছে এবং প্রতিবছর প্রতিটি কৃষকের নিকট হইতে বিঘাপ্রতি ৭ শত টাকা উত্তোলন করে থাকেন যা কৃষকের কাছ থেকে নেওয়ার কোনো বিধান নেই। কোন কৃষক টাকা না দিলে তাকে পানি দেওয়া হয় না, এমনো অভিযোগ রয়েছে।

একইভাবে অপর দুটি গভীর নলকূপের অপারেটর সুন্দরইল গ্রামের মৃত ওয়াজ মোহাম্মদ এর ছেলে মোঃ আব্দুস সাত্তার পক্ষে মুক্তার হোসেন ও মৃত গমীর মন্ডল এর ছেলে আলহাজ্ব তসলিম মন্ডল কৃষকের নিকট হতে বেশি অর্থ আদায় করে থাকেন, ফলে গ্রামের সকল কৃষকএর সাড়ে ৩ শত বিঘা জমি ফসল উৎপাদন হতে বাধার সৃষ্টি হওয়ায় গ্রামবাসী এ অভিযোগ দায়ের করেছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে জমিতে এখনো পানি দেওয়া হয়নি,অধিক অর্থ আদায় করতে না পেরে অপারেটররা তালা মেরে রেখেছে সেচ ঘর।

এ বিষয়ে অপারেটর তসলিম উদ্দিন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমার গভীর নলকূপের পানি দিয়ে গ্রামে সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা করা আছে মাত্র দেড় শত বিঘা জমি আমার আবাদ হয় আমি উক্ত দেড় শত বিঘা জমির কৃষকের নিকট হইতে অতিরিক্ত তিনশত টাকা নিয়ে থাকি আর এটা নেওয়ার কারণ অন্যান্য গভীর নলকূপের অপারেটররা নেয় বলে আমিও নেই। এ বিষয়ে এলএলপি সেচ প্রকল্পের অপারেটর ফারুক হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

গভীর নলকূপের অপারেটর মোকতার হোসেন এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান টাকা যেগুলো বেশি নেওয়া হয় সেগুলো ইঞ্জিন বিকল্প হলে তা মেরামত করা হয় আর বি এম ডিএর সাব ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলমকে দিতাম।
আবেদনের প্রেক্ষিতে বিএমডিএ’র সহকারি প্রকৌশলী রেজাউল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান আমি আবেদন পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এর নিরসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে গ্রামের প্রায় অর্ধশত লোকের সাথে সাক্ষাতে কথা হলে তারা জানিয়েছেন আমাদের সকল কৃষকদের বিভিন্ন প্রকার হয়রানি করে থাকেন তিন অপারেটর তাই আমাদের দাবি অপারেটর পরিবর্তন করে ভাল কাউকে দায়িত্ব অর্পণ করা হউক।

 

আপনার মতামত লিখুন :

এই বিভাগের সর্বশেষ