দশমিনায় মন্দিরে ও বিদ্যালয়ে সরস্বতী পূজা উদযাপিত

প্রকাশিত : ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২

সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। দূর হবে করোনা, খুলে দেয়া হবে বিদ্যালয় এমন প্রত্যাশা নিয়ে পটুয়াখালীর দশমিনায় উৎসব মুখর পরিবেশে পুরোহিতের মন্ত্রপাঠ, উলুধ্বনি ও ঘন্টাসহ নানা আয়োজনে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে। শনিবার সনাতন (হিন্দু) ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম এ ধর্মীয় পূজা উদযাপিত হয়েছে। আলপনা একে সাঁজানো হয় বিদ্যালয় প্রাঙ্গন। এসময় শাক ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মন্দির প্রাঙ্গন। দেবির পায়ে অর্পন করা হয় পূষ্পাঞ্জলি, বই-খাতা ও বাদ্যযন্ত্র। সনাতন ধর্মমতে, সরস্বতী জ্ঞান, বিদ্যা ও শিল্পকলার দেবী।

জ্ঞান ও বিদ্যালাভের আশায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছরের মাঘ মাসের শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতীর আরাধনা করেন। বিদ্যার দেবী হওয়ায় হিন্দু স¤প্রাদায়ের ঘরে ঘরে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরস্বতীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, সাদা রাজহাঁসে চড়ে ও বীণাহাতে সরস্বতী পৃথিবীতে আসেন। সরস্বতী পূজা উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পূজামন্ডপ বাড়ী বাড়ীতে দেবীর পাদ পদ্মে অঞ্জলি দেয় ভক্তরা। এ ছাড়া দেবীর সামনে ‘হাতেখড়ি’ দিয়ে শিশুদের বিদ্যা চর্চার সূচনা করা হয় অনেক জায়গায়। প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও বাড়িতে বাড়িতে এক যোগে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ পূজা এখন শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটা এখন একটি অসা¤প্রদায়িক উৎসবে পরিণত হয়েছে। এ উৎসব সনাতন ও মুসলিম উভয় ধর্মাবলম্বী মানুষ সমানভাবে উপভোগ করছে। সনাতন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সঙ্গে মুসলিম শিক্ষার্থীরাও এই পূজা আয়োজনের মাধ্যমে বিদ্যাদেবীকে সন্তুষ্ট করে শিক্ষা অর্জনের পথ সুগমে ব্যস্ত। এছাড়া, হিন্দুধর্মালম্বীদের ঘরে ঘরেও উদযাপন হচ্ছে দেবীর পূজা ও প্রসাদ বিতরন।

আপনার মতামত লিখুন :