কাউখালীতে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম, দশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড

প্রকাশিত : ২৩ মার্চ ২০২০

পিরোজপুরের কাউখালীতে করোনা আতঙ্কে গত দু’দিন ধরে উপজেলার হাট-বাজার গুলোতে হঠাৎ করে মূহুর্তের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এরইপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সকালে দক্ষিন বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার ৫’শত টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও নির্বাহী অফিসার মোছা. খালেদা খাতুন রেখা। জানা গেছে, শুক্রবার সকালে সাপ্তাহিক হাটের দিন এক ঘন্টার মধ্যে বেশি মূল্যে আদায় করে পেয়াজ আলু বিক্রি বন্ধ করে দেয় বিক্রেতারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিন বাজারে পেঁয়াজের মূল্য খুচরা বাজারে ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দাম বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৪০ থেকে ৬০ টাকা। রসূনের মূল্য ছিল ৬০ টাকা দাম বেড়ে গিয়ে হয় ৯০টাকা। চালের বাজার মূল্য বস্তা ছিল ১৩ শত থেকে ১৭ শত টাকা বর্তমান মূল্য দাঁড়ায় ২ হাজার থেকে ২১ শত টাকা। আর এতে অতি উৎসাহী লোকজন বাজার থেকে চাল ও পেঁয়াজসহ সকল নিত্য পণ্য আগাম ক্রয় করে মজুত করে রাখেন। আর এ সুযোগকে পুঁজি করে কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা চাল-পেঁয়াজসহ নানা রকম নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি শুরু করেন।

এ বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. খালেদা খাতুন রেখার নেতৃত্বে ও কাউখালী থানা পুলিশের সহযোগিতায় দক্ষিন বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চাল ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বাদশাকে ৫ হাজার টাকা, সাইদুর রহমান কে ৫ হাজার টাকা, সুখরঞ্জন দেউড়িকে ৫ হাজার টাকা, বশির উদ্দিনকে ২ হাজার টাকা, পেয়াজ ব্যবসায়ী জসিমকে ৫ হাজার টাকা, মজিবুর হাওলাদার ১ হাজার টাকা, বিষ্ণন্নকে ৩ হাজার টাকা, সাহেব আলীকে ৫’শত শংকর কুন্ডুকে ৫ হাজার টাকা এবং আলতাফকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা.খালেদা খাতুন রেখা বলেন, কোনো ব্যবসায়ী করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে যদি নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধি করেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযানকালে কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিঞা মনুসহ কাউখালী থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন :