নিউমার্কেটের কর্মচারীরা ক্রেতার সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল ২০২২

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দোকান কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ‘খারাপ আচরণের’ অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঢাকা নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহিন বলেছেন, ব্যবসায়ীরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চান। ঈদের পর দোকান কর্মচারীদের খারাপ আচরণের বিষয়ে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। এরপর নিউ মার্কেটে কেনাকাটা করতে এসে কেউ বাজে ব্যবহারের শিকার হলে সমিতিতে অভিযোগ করার অনুরোধ রইল। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার ঢাকা নিউ মার্কেটে ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। আজ বুধবার থেকেই দোকানপাট খুলে দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, গত ১৮ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে ঢাকা নিউ মার্কেটের ২টি ফাস্ট ফুডের দোকানের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ঘটনার একপর্যায়ে রাত আনুমানিক ১১টা ৩৫ মিনিটে একটি সংঘবদ্ধ দল ঢাকা নিউ মার্কেটের ৪ নম্বর গেইটসহ অন্যান্য স্থানে ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য চাই।

হামলার ঘটনার দুঃখ প্রকাশ করে ঢাকা নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বলেন, আমরা জানতে পারি এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা জড়িত। ১৯ এপ্রিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলা হলে এই এলাকার সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সত্যেও একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতার দিনব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে বেসরকারি খাতে কর্মরত একজন কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হন সংবাদকর্মীরা। এ জন্য আমরা গভীর ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

ঘটনার শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং এলাকার ব্যবসায়ী নেতাদেরসহ আলোচনার মাধ্যমে একটি কোর কমিটি গঠনের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করব। যাতে করে যেকোনো ঘটনা আলোচনার ভিত্তিতে সুষ্ঠু সমাধান করতে পারি। এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার নিরপেক্ষ তদন্তের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

নিউ মার্কেট এলাকার দোকান মালিক এবং কর্মচারীদের ছাত্রদের উদ্দেশ্যে কোনো ধরনের উসকানিমূলক কথা না বলার পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরও সহনশীল আচরণ করার অনুরোধ করেন তিনি। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাম্বুলেন্সে আক্রমণ কোনোভাবেই কাম্য নয় উল্লেখ করে হেলাল উদ্দিন বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাটিও অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। আমি মনে কবি, কোনো ব্যবসায়ী বা ছাত্র এ কাজ করতে পারে না। এ ঘটনায় স্পষ্ট প্রতীয়মান, এখানে তৃতীয় পক্ষ জড়িত। আমরা মনে করি, এখানে ব্যবসায়ীরা ছিল না, ছাত্রও ছিল না। জানি না তারা কারা!

তিনি বলেন, তারা উচ্ছৃঙ্খল জনতা। এখানে তৃতীয় পক্ষ ছিল, নিশ্চিত করে বলছি। তবে এ ঘটনায় যদি কোনো ব্যবসায়ী জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরও বলেন, আমরা এ ঘটনার শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। এ ঘটনা নিয়ে কেউ যেন উসকানিমূলক কথা, বক্তব্য ও পোস্ট না দেন এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি তিনি অনুরোধ জানাচ্ছি।

 

আপনার মতামত লিখুন :