ঢাকা সিটির সবুজায়ন বৃদ্ধি প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে: সবুজ আন্দোলন

প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল ২০২২

পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয় মালিবাগে ” ঢাকা সিটির সবুজায়ন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল” আয়োজন করে।সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগর পরিকল্পনাবিদ ও বাংলাদেশ পানি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক প্রকৌশলী ম ইনামুল হক। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সবুজ আন্দোলনের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল কুদ্দুস বাদল।

প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার গ্রিন ম্যান শাহেদ শফিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রত্যাশার বাংলাদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের মহাসচিব মহসিন সিকদার পাভেল, পরিচালক অভিনেতা উদয় খান,সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক সমীরণ রায়।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ঢাকা শহরের ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সবুজায়ন নিশ্চিত করতে তদারকি বৃদ্ধি এবং নকশা প্রণয়নে প্রকৌশলীদের সবুজ কর্নার রাখার ক্ষেত্রে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রত্যেকের বাসার ছাদে বাধ্যতামূলক সবুজায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

উদ্বোধক আব্দুল কুদ্দুস বাদল তার বক্তব্যে বলেন, রাজউক কর্তৃক বিল্ডিং নির্মাণের জন্য যেসকল নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে তা সঠিকভাবে তদারকি করা হচ্ছে না। আদালতে অসংখ্য মামলা রয়েছে যা নিষ্পত্তি করতে বিচারকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। দায়িত্বশীল কতৃপক্ষকে বাড়ির নকশা প্রণয়ন এবং সবুজায়ন নিশ্চিতের ক্ষেত্রে পরিবেশের ছাড়পত্র প্রদানে আরো বেশি সচেতনতার পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রধান আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ নিয়ে কাজ করছি। ঢাকা শহরের সবুজায়ন বৃদ্ধিতে সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের আরো বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করলে আরও বেশি সবুজায়ন নিশ্চিত করা সম্ভব।

অনুষ্ঠানের সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, আমরা বিগত দিনে সবুজ আন্দোলন তথ্য গবেষণা পরিষদের মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলাম ঢাকা শহরে মাত্র ২ শতাংশ সবুজায়ান অবশিষ্ট আছে। সবুজায়ন বৃদ্ধির জন্য ঢাকার চারপাশ দিয়ে সবুজ বেষ্টনী করার যে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। নদী বন্দর ব্যবহার বৃদ্ধি এবং শহরের খালগুলোকে সংস্কার করে পরিবহন চাপ কমাতে হবে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ঢাকা শহরে প্রায় ২১ শত পুকুর ছিল। যা বিলুপ্ত হয়ে মাত্র ২ শত হয়েছে। যার অধিকাংশ সংস্কার জরুরী।

শহরের লেকপারগুলো দখলমুক্ত করা এবং ছোট ছোট ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে সবুজ বেষ্টনী করা সম্ভব। রেলের পতিত জায়গা, অন্যান্য দখলকৃত জায়গা উচ্ছেদ করে সবুজায়ন নিশ্চিত করা, সরকারিভাবে বিদেশি গাছ রোপন নিষিদ্ধ করা, রাস্তার আইল্যান্ডে দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগানো, শহরের বিপনী বিতানগুলো সামনে এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করে প্রত্যেক দোকানের সামনে গাছের টব বাধ্যতামূলক করতে হবে। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কাজের গতিকে বৃদ্ধি করার জন্য স্থানীয় সরকার বিলুপ্ত করে শুধুমাত্র সিটি সরকার ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

এছাড়াও সংগঠনের পক্ষ থেকে ভিক্ষুক, রিকশাচালক ও পথচারীদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।

 

আপনার মতামত লিখুন :