৮ লাখে বিক্রি হবে ২৫ মণ ওজনের পটুয়াখালীর কিং

প্রকাশিত : ৩ জুলাই ২০২২

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: বয়স মাত্র ৩০ মাস। যার ওজন এখনই প্রায় ২৫ মনের মত। আকর্ষণীয় কালো বর্ণের এই গরুটি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় আশেপাশের বাসিন্দারা। এছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতারাও আসছেন। গরুর মালিক শখ করে নাম রেখেছেন “পটুয়াখালীর কিং”। কোরবানীতে এটিকে বিক্রির লক্ষে গরুর মালিক দাম হাঁকছেন ৮ লাখ টাকা।

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের মুসুরিকাঠি গ্রামের শাহ-আলম হাওলাদারের ছেলে শামীম হাওলাদার (৩৫) ২০১৮ সালে ফ্রিজিয়ান জাতের ১১টি গরু কিনে শুরু করেন খামার ব্যবসা।২০২০ সালের জানুয়ারী মাসে এর মধ্যে একটি গরু বাছুর জন্ম দেয়। পরে এই বাছুরটিকে তিনি নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করেন এবং নাম রাখেন পটুয়াখালীর কিং। সঠিক পরিচর্যা এবং দেশীয় খাবার গম, ভুট্রা এবং খড় কুটা খাওয়ানের ফলে বর্তমানে এই গরুটির ওজন হয়েছে ২৫ মন। বর্তমানে এই গরুটি লালন পালন এবং খাবারে প্রতিনিয়ত ব্যয় হচ্ছে ১৫শ‘ টাকা। তাই কোরবানীর আগে পটুয়াখালীর কিং এর ওজন আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন খামার ব্যবসায়ীরা।

খামারী শামীম হাওলাদার জানান, বর্তমানে আমার খামারে ১৩ টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে এই গরুটির যখন জন্ম হয়, তখনই এটি দেখতে অনেকটা সুন্দর ছিলো। ভালোবেসে এটির নাম রেখেছিলাম পটুয়াখালীর কিং। এবং নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করেছি। এছাড়া সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়েছি। তবে এ বছরই এটি বিক্রি করে দিতে হবে। তাই দাম চেয়েছি ৮ লাখ টাকা। তবে আলোচনা সাপেক্ষে কেউ নিতে চাইলে কম বেশি হতে পারে।

পার্শ্ববর্তী আমতলী উপজেলার শাখারীয়া বাজারের মনির মিয়া জানান, এ গরুর নাম এখন জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা এটিকে দেখতে এসেছি। দেখতে বেশ নাদুস নুদুস। গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের ছলেমুদ্দিন জানান, দুই থেকে তিন মাস আগেই শুনেছি শামীম গরুর খামার করে সফল হয়েছে। তাই তার খামার দেখতে এসেছি। আমারও খামার করার ইচ্ছে আছে। পটুয়াখালীর কিং কালো হলেও দেখতে অনেক সুন্দর।

গলাচিপা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জানান, এটাই সম্ভবত জেলার সবচেয়ে বেশি ওজনের গরু। আমরা দুই একদিনের মধ্যে ওই খামারীর বাড়ি ভিজিট করবো। তবে শামীম হাওলাদার একজন সফল খামারী। তাকে আমরা প্রানী সম্পদ অফিস থেকে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি এবং সকল ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :