কোরবানির ঈদ আসলেই তেঁতুল কাঠের খাইট্টা বিক্রি করেন তোফাজ্জেল

প্রকাশিত : ৭ জুলাই ২০২২

কোরবানির ঈদ আসলেই তেঁতুল কাঠের খাইট্টা বিক্রি করেন তোফাজ্জেল

সজ্ঞিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:  পশুর মাংস কাটার কাজে এই কাঠের খাইট্টার চাহিদা অনেক। কোরবানির দিনে পশুর মাংস কাটতে এই কাঠের খাইট্টা খুবই প্রয়োজনীয়। তোফাজ্জেল চৌকিদার গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়ন ৩ নং ওয়াডের কালুখা এলাকার সামচু চকিদারের ছেলে। পেশায় তিনি একজন কৃষক ।

গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন শহরের অস্থায়ী গরুর হাটের পাশে ৯০টি তেঁতুল কাঠের খাইট্টা নিয়ে বসে আছেন তোফাজ্জেল । সেখানেই কথা হয় তোফাজ্জেলের সাথে। আর মাত্র ৬ দিন বাকি ঈদের। মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্রতি বছর এই সময় খাইট্টা বিক্রি করেন। ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা মূল্যের তেঁতুলের খাইট্টা পাওয়া যায় তার কাছে। তোফাজ্জেল বলেন, সব ধরনের কাঠ দিয়েই খাইট্টা হয়ে থাকে। তবে তেঁতুলের খাইট্টা সবচেয়ে ভালো এবং চাহিদাও বেশি। এই কাঠ অত্যন্ত শক্ত ও মজবুত। প্রতিবছর কোরবানির আগে তেঁতুল গাছ কিনে থাকি।

পরে সেই কাঠ ছ’মিলে নিয়ে মাংস কাটার উপযোগী করে নির্দিষ্ট মাপে টুকরা করে খাইট্টা তৈরি করি। পরে এটি একটু শুকিয়ে গেলে বিক্রি করে থাকি। অন্যান্য কাঠের খাইট্টা দা বা ছুরির আঘাত তেমন সহ্য করতে পারে না। ফলে কাঠ থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টুকরা উঠে মাংসে লেগে থাকে। যা পরে মাংস থেকে ছড়াতে বেশ বেগ পেতে হয়। কিন্তু তেঁতুল গাছের কাঠ শক্ত ও মজবুত হওয়ায় এটির চাহিদা বেশি।প্রতিটি খাইট্টা ছ’মিলে কাটতে ১০০ টাকা লাগে।

গাছ কিনে ছ’মিলে কাটার পর প্রতিটি খাইট্টা বিক্রি করে ৪০ থেকে ৫০ টাকা লাভ হয় তার। প্রতিবছর ২০০ থেলে ২৫০ টি খাইট্টা বিক্রি করেছেন। এবছর এখন পর্যন্ত ১০০টি খাইট্টা বিক্রি করেছেন তিনি। কোরবানির জন্য খাইট্টা কিনতে আসা মাসুদ প্যাদা বলেন, ভাই খাইট্টা ভালো বানায়। এখানে ছোট খাইট্টা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, মাঝারি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, বড় খাইট্টার দাম ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা করে বিক্রি করা যায়।

তোফাজ্জেল বলেন, গত কয়েক বছর ধরে তেঁতুলের খাইট্টা বিক্রি করায় অনেকেই এখন আমাকে খাইট্টা তোফাজ্জেল বলে ডাকে। গত সোমবার ৫৫ টি খাইট্টা বিক্রি করেছি। আজ ৯০টি খাইট্টা এনেছি। আশা করি সবগুলো বিক্রি করতে পারবো। এবছর কোরবানির ঈদে ৩০০ টি খাইট্টা বিক্রি করার ইচ্ছে আছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :