চবিতে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন, মূল হোতাসহ আটক ৪

প্রকাশিত : ২৩ জুলাই ২০২২

চবিতে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন, মূল হোতাসহ আটক ৪

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় মূল হোতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৭। শনিবার (২৩ জুলাই) সকাল ৯ টায় র‍্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আফসার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে বেলা ১১টায় বিস্তারিত ব্রিফিং করবেন র‍্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ।

এর আগে শুক্রবার রাত ১টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে শাহ আমানত হলে তল্লাশি চালানো হয়। জড়িতদের একজন হলে অবস্থান করছেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশি করা হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। ঘটনার অন্যতম প্রধান দুই আসামি মেহেদি হাসান হৃদয় (ইংরেজি বিভাগ, শিক্ষাবর্ষ ২০১৭-১৮) ও আজিম হোসেন (ইতিহাস বিভাগ, শিক্ষাবর্ষ ২০১৯-২০)
ঘটনার অন্যতম প্রধান দুই আসামি মেহেদি হাসান হৃদয় (ইংরেজি বিভাগ, শিক্ষাবর্ষ ২০১৭-১৮) ও আজিম হোসেন (ইতিহাস বিভাগ, শিক্ষাবর্ষ ২০১৯-২০)

উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই প্রক্টরের কাছে হেনস্তার লিখিত অভিযোগ করেন চবির ওই ছাত্রী। এতে তিনি জানান, ১৭ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি ও তার বন্ধু প্রীতিলতা হলে ফেরার সময় কাছের একটি সড়কে কয়েক যুবক তাদের পথরোধ করেন। তাদের মারধর করে বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে ঝোঁপে নিয়ে যান যুবকরা।

ছাত্রী আরও জানান, তাকে বিবস্ত্র করে মোবাইলে ভিডিও করা হয় এবং সেই ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান যুবকরা। তার বন্ধু এর প্রতিবাদ করলে তার ওপরও নির্যাতন করা হয়। পরে যুবকরা দুজনের মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় দুই দিন পর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসানের সই করা কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়াকে।

এদিকে যৌন নিপীড়নের এ ঘটনার জেরে ছাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরই মাঝে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের হলে প্রবেশের ব্যাপারে সময়সীমা বেঁধে দেয়। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন করে ক্ষোভ দেখা দেয়। ছাত্রী হেনস্তা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বৃহস্পতিবার দিনভর শিক্ষক, সাধারণ শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগ এবং প্রগতিশীল ছাত্রজোট মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল করে।

 

আপনার মতামত লিখুন :