নিয়োগ বিধি সংশোধনসহ ৮ দফা দাবি রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির মানববন্ধন

প্রকাশিত : ২৪ জুলাই ২০২২

রেলওয়ে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধন কমিটি প্রায় ৭ মাসেও নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনে ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছে রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি। তারা আগামী ১ মাসের মধ্যে নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন। রোববার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নিয়োগ বিধি সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি।

মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, সংশোধিত রেলওয়ে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০২০ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এই নিয়োগবিধি সংশোধনে রেলওয়ের সকল ট্রেড ইউনিয়ন ও রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি দাবি জানিয়ে আসলেও রেলপথ মন্ত্রণালয় তাতে কর্ণপাত না করে জনবল নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এ কারণে রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারী ও পোষ্যদের মাঝে চরম হতাশা, ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সংশোধিত নিয়োগ বিধিমালা রেলওয়ের প্রচলিত বিধি-বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। সামগ্রিকভাবে রেলওয়ের কর্মপদ্ধতি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদ-পদবি অন্য কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। স্বাভাবিক কারণে রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারী ও পোষ্যরা মনে করে, রেলওয়ে তাদের স্বতন্ত্র আইন দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে এবং রেলওয়েকে চলমান স্বতন্ত্র প্রক্রিয়ায় পরিচালনা করা উচিত।

মানববন্ধনে সংগঠনটি ৮ দফা দাবি পেশ করে। দাবিগুলো হলো

১. সংশোধিত নিয়োগ বিধিমালা-২০২০ সংশোধনপূর্বক রেলওয়ে কর্মচারীবান্ধব নিয়োগবিধি প্রণয়ন এবং প্রতিটি রেল কর্মচারীর পরিবার থেকে কমপক্ষে একজন পোষ্যর চাকরি নিশ্চিতকরণ।

২. প্রকাশিত ৮৬৫ জন খালাসী ও ১১১৩ জন ওয়েম্যানের ফলাফল থেকে অধিকার বঞ্চিত আন্দোলনরত রেলওয়ে পোষ্যদের নিয়োগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩. জনবল কাঠামো পুনর্গঠনের নামে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বাতিল করে করতে হবে। সকল প্রকার আউটসোর্সিংয়ের নামে পকেটসোর্সিং বন্ধ করতে হবে।

৪. রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও রেলওয়ে পোষ্যদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নানামুখী প্রকল্পের মাধ্যমে পোষ্যদের বেকারত্বের অভিশাপ হতে মুক্তি দিতে হবে।

৫. অবসরপ্রাপ্ত ও মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীদের ফাইনাল সেটেলমেন্টের কাজ সরকার নির্ধারিত দুই মাস সময়ের মধ্যে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ এর স্থলে ৩২ বছর করার দাবি।

৬. নিয়োগ, ক্রয়, ঠিকাদারি কাজ ও প্রকল্প বাস্তবায়নে সকল প্রকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম কর্তৃক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৭.রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারী ও পোষ্যদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে রেলওয়ে হাসপাতালসমূহে আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

৮.অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের আবাসনের জন্য ১০ শতাংশ করে পরিত্যক্ত রেল ভূমি লিজের মাধ্যমে স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির উপদেষ্টা আব্দুর রাজ্জাক মল্লিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সাগর প্রমুখ।

আপনার মতামত লিখুন :