নরসিংদীর রায়পুরায় গলায় ফাঁস দিয়ে বৃদ্ধের আত্মহত্যা

প্রকাশিত : ২৪ জুলাই ২০২২

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় গলায় ফাঁস দিয়ে মো. গোলাপ মিয়া (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ আত্মহত্যা করেছেন। আজ রোববার দুপুর আনুমানিক ১২টায় উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের পূর্ব হরিপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই এলাকার মৃত মো. গয়েব আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত গোলাপ মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ প্যারালাইসিসে অসুস্থ ও মানসিক বিষাদগ্রস্ত ছিলেন বলে জানান স্বজনেরা। দুই স্ত্রী নিয়ে ছিল তাঁর সংসার। প্রথম স্ত্রী ও সন্তান ঢাকায় বসবাস করেন। অসুস্থ থাকাকালীন দীর্ঘদিন ঢাকাতেই ছিলেন। চিকিৎসা শেষে পাঁচ মাস আগে অসুস্থ নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী বাড়িতে চলে আসেন। ইদানীং তিনি একাই হাঁটাচলা করতেন এবং ঘরেও একাকী থাকতেন। আজ সকালে খাবার শেষে পারিবারিক লোকজন বাড়ির বাইরে চলে যান। দুপুরে নাতনি গরুর খাবার সংগ্রহ শেষে ঘরে ফিরে দরজা বন্ধ দেখেন। পরে দরজা খুলে গোলাপ মিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তিনি।

এ সময় তার চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ঝুলন্ত মরদেহটি দেখে পুলিশে খবর দেন। রায়পুরা থানা-পুলিশ বিকেল ৪টায় ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে তা নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠায় পুলিশ। নিহতের নাতনি মারজিয়া আক্তার রোপা জানান, দীর্ঘদিন থেকে তাঁর দাদা অসুস্থ ও মানসিক বিষাদগ্রস্ত ছিলেন। সকালে গরুর ঘাস কাটতে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন তিনি। বাড়িতে এসে দেখেন ঘরে ধরনার সঙ্গে ঝুলে আছেন তাঁর দাদা।

মুছাপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আসাদ মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারি তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ও মানসিক রোগে ভুগছিলেন। তার সঙ্গে কারও বিরোধ ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় আত্মহত্যা করেছেন তিনি। রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক রকিবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :