দক্ষিণ চীন সাগরে মুখোমুখি মার্কিন ও চীনা যুদ্ধজাহাজ

প্রকাশিত : ১ আগস্ট ২০২২

দক্ষিণ চীন সাগরে মুখোমুখি অবস্থানে মার্কিন ও চীনা যুদ্ধজাহাজ। এর মধ্যেই তাইওয়ান প্রণালিতে সামরিক মহড়া শুরু করেছে বেইজিং। এদিকে বহুল আলোচিত এশিয়া সফর শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তার দফতর থেকে এশিয়ার চার দেশে সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও তাইওয়ান সফরের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। খবর দ্য টাইমস।

দক্ষিণ চীন সাগরে মুখোমুখি মার্কিন ও চীনা যুদ্ধজাহাজ মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে রীতিমতো যুদ্ধাবস্থা দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে মার্কিন ও চীনা যুদ্ধজাহাজ।

সফরকালে পেলোসি তাইওয়ান যেতে চাইলে তার বিমান ভূপাতিত করার হুমকি দিয়েছে চীন। তার এশিয়া সফর শুরুর মুহূর্তে হঠাৎ করে তাইওয়ান প্রণালিতে সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং। তাইওয়ানের সবচেয়ে কাছের ফুজিয়ান প্রদেশে রোববার (৩১ আগস্ট) ব্যাপক আকারে মহড়া চালায় পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। জানা গেছে, পিংতান, জিয়ামেনসহ ফুজিয়ানের কয়েকটি উপকূলীয় শহরে ভারী অস্ত্র ও সৈন্য সমাবেশ করেছে চীন। এর মধ্যে পিংতান থেকে তাইপের দূরত্ব ১২৫ কিলোমিটার। জিয়ামেন থেকে তাইওয়ান-নিয়ন্ত্রিত কিনমেন দ্বীপের দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার।

চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি পিএলএ-র মুখপাত্র বলেন, নিজেদের সার্বভৌমত্ব এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে নিয়মিত সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবেই এই তৎপরতা। পিপলস লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র শেন জিংকে বলেন, ‘দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপ চীনের অংশ। নিজ দেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা ধরে রাখতে যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার চীনের রয়েছে। এ অঞ্চলে কোনো ধরনের আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বরদাশত করা হবে না। আমাদের নৌ, বিমান ও সেনাবাহিনী সেখানে টহল দিয়ে যাচ্ছে। যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।’

চীনের এমন পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। পেলোসির সফরকালে দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থান করবে মার্কিন রণতরি ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান। মার্কিন স্পিকারের দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ন্যান্সি পেলোসি সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সফরসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যদিও এই দেশগুলোর বাইরে পেলোসি অন্য কোথাও যাবেন কি না, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। এতে তাইওয়ান সফর নিয়ে শুরু হয়েছে ধোঁয়াশা।

উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তাদের তাইওয়ান সফর স্বশাসিত দ্বীপটির স্বাধীনতাপন্থিদের উৎসাহ দেয় বলে মনে করে চীন। ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাইওয়ানের কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটিকে অস্ত্রসহ সব ধরনের সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

আপনার মতামত লিখুন :