বোরকা পড়ে স্কুলে আসায় শিক্ষিকা কর্তৃক ছাত্রীকে শাস্তি, শিক্ষিকা বরখাস্ত

প্রকাশিত : ১ আগস্ট ২০২২

ফরিদ আহমদ শিকদার হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ সদরের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ড্রেস পরিধান না করে বোরকা পরে স্কুলে আসায় হিন্দু শিক্ষিকা শাস্তি দিলেন ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া আক্তারকে। শাস্তি হিসাবে ছাত্রী সাদিয়া আক্তারকে ওই স্কুলের শিক্ষীকা মৌসুমী রায় পায়ে সেজদা দিয়ে নাকে খত দিতে বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ওই শিক্ষীকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সাদিয়া আক্তার নামে ওই ছাত্রী স্কুলের ড্রেস না পরে বোরকা পরিধান করে স্কুলে যান। এসময় বিষয়টি শিক্ষিকা মৌসুমী রায়ের নজরে আসলে তিনি ওই ছাত্রীকে ড্রেস না পরে আসার কারণে শাস্তি প্রদান করেন। পরে বিষয়টি ওই ছাত্রীর পরিবার থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়। গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনাটি ঘটলেও পরদিন শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ হওয়ায় শনিবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেন ওই স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ।

আলোচনা শেষে তারা ওই শিক্ষিকাকে শোকজ করেন এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেয়া হয়।
শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার জানান- স্কুল ড্রেস না এনে বোরকা পড়ে স্কুলে আসায় শিক্ষিকা মৌসুমি রায় উনার পায়ের কাছে সেজদা দিয়ে নাকে খত দিতে বলেন কিন্তু সাদিয়া শিক্ষিকা মৌসুমি রায়কে কেঁদে কেঁদে অন্য শান্তি দেওয়ার কথা বল্লেও তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে বলেন আমি যা বলেছি তুমাকে তাই করতে হবে। এক পর্যায়ে সাদিয়াকে তা করতে বাধ্য করেন ওই শিক্ষিকা এবং অন্য শিক্ষার্থীদেরকে এব্যাপারে কোন রকম উস্কানি দিলে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন।

এদিকে এ ঘটনায় গতকাল রবিবার পুরো জেলাজুড়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় বইছে। শিক্ষিকা মৌসুমী রায় ওই স্কুলের একজন খন্ডকালীন শিক্ষিকা বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে- বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান যে, ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :