গলাচিপা থানার ওসির উদ্যােগে পরিবার ফিরে পেলো নিখোঁজ কিশোর

প্রকাশিত : ১ আগস্ট ২০২২

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার ওসি এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম এর ব্যাক্তিগত উদ্যােগে পরিবার ফিরে পেলো রাঙ্গাবালী থে‌কে ঢাকার উ‌দ্দে‌শ্যে ছে‌ড়ে যাওয়া জা‌হিদ-৩ লঞ্চ থে‌কে আগুনমুখা নদী‌তে প‌ড়ে নি‌খোঁজ কিশোর ওসমান গনী (১৪)। সোমবার বিকেলে গলাচিপা থানা পুলিশের মাধ্যমে বাবা ইমাম উদ্দিন এর কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয় ওই কিশোরকে। গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওসমানের বাড়ি শরিয়তপুরের চিতলীয়া ইউনিয়নে। গতকাল রোববার বিকাল ৩ টার দিকে রাঙ্গাবালী থে‌কে ঢাকার উ‌দ্দে‌শ্যে ছে‌ড়ে যাওয়া জা‌হিদ-৩ লঞ্চ এর পেছনে গোসল করতে গেলে নদীর স্রোতের ধাক্কায় আগুনমুখা নদীতে পড়ে যায়। বিকাল ৫ টার দিকে স্থানীয় এক জেলে নদীতে ভাসতে দেখে ঝাপিয়ে পড়ে কিশোরকে উদ্ধার করে নৌকায় তুলে নেয়। পরে পানপট্রি ঘাটে এসে স্থানীয় ইউপি সদস্য জুবায়ের খানের কাছে কিশোরকে তুলে দেন। নদী থেকে উদ্ধার করা জেলে জুয়েল মাতব্বর বলেন, ইলিশের জাল ফেলে ট্রলারে বসে ছিলেন তিনি। এসময় দূর থেকে কিশোরকে নদীর মধ্যে ভাসতে দেখেন।

ট্রলারের সাথে জাল বাঁধা থাকায় ট্রলার নিয়ে কিশোরটির কাছে যেতে পারছিলনা সে। একপর্যায়ে কিশোরকে উদ্ধারের জন্য নদীতে ঝাঁপ দেয়। আধাঘণ্টার মতো সাঁতার কেটে নদী থেকে কিশোরকে উদ্ধার করে ট্রলারে তুলেন। ওসমানের বাবা ইমাম উদ্দিন জানান, তার ছেলে নদীতে পড়ে যাওয়া ও উদ্ধার হওয়ার ঘটনা গলাচিপা থানার মাধ্যমে খবর পান। তিনি বলেন, ”ওসি এম আর শওকত আনোয়ার শরীয়তপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ আমাদের জানায়। পরে গলাচিপা থানায় এসে ছেলেকে পেয়েছি। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জনাই”।

কিশোরের দুলাভাই সবুজ বেপারী বলেন, ”ওসমান লঞ্চে কাজ করতো। জানতে পেরেছি গতকাল বিকালে গোসল করতে গিয়ে লঞ্চের পেছন থেকে নদীতে পড়ে যায়। জেলে ভাই জুয়েল থাকে উদ্ধার করেছে আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ। তাছাড়া গলাচিপা থানা পুলিশ এবং ওসি মহোদয় আন্তরিকতার সাথে আমাদের ঠিকানা খুঁজে বের করে ওসামানকে ফিরিয়ে দিয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ জানাই”।

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ এম আর শওকত আনোয়ার বলেন, কিশোর ওসমান রোববার বিকেলে ঢাকাগামী জাহিদ-৩ লঞ্চ থেকে আগুনমুখা নদীতে পড়ে যায়। জেলে জুয়েল মাতব্বর তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য জুবায়ের খানের হেফাজতে রাখেন এবং পরে পুলিশকে জানায়। আমি খবর পেয়ে ব্যক্তিগত উদ্যােগে কিশোরের ঠিকানা খুঁজে বের করি এবং তার পরিবারের নিকট খবর পাঠাই। আজ ১লা আগস্ট সোমবার বিকেলে তার পরিবার আসলে বাবা ইমাম উদ্দিনের কাছে কিশোরকে তুলে দেই।

আপনার মতামত লিখুন :