ব্রিটিশ স্পিকারের সঙ্গে ড. শিরীন শারমিনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশিত : ৩ আগস্ট ২০২২

যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার ভবনের স্পিকারের কার্যালয়ে তাদের এই সাক্ষাৎ হয়। এ সময় ওয়েস্টমিনিস্টার প্রাঙ্গণে ব্রিটিশ পতাকার পাশাপাশি বাংলাদেশের পতাকাও উত্তোলন করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার স্পিকারের দফতর থেকে জানানো হয়, সাক্ষাৎকালে তারা জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, রোহিঙ্গা ইস্যু, বাংলাদেশের ডায়াসপোরা এবং সামাজিক উন্নয়নসহ কমনওয়েলথভুক্ত পার্লামেন্টসমূহের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। স্পিকার শিরীন শারমিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলা, দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়নসহ সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে ওয়েস্টমিনিস্টার ও কমনওয়েলথভুক্ত পার্লামেন্টসমূহ একত্রে কাজ করতে পারে।

বিগত সময়ে সিপিএ’র চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কমনওয়েলথভুক্ত পার্লামেন্টসমূহ এবং আইপিইউসহ অন্যান্য পার্লামেন্টারি সংস্থাসমূহের সাথে সমন্বয় করে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে তিনি অবদান রেখেছেন বলে উল্লেখ করেন। এসব ক্ষেত্রে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সহযোগিতা ও সমর্থন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন স্পিকার।

ব্রিটিশ স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েল জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের নেওয়া পদক্ষেপ ও উদ্যোগসমূহের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের ডায়াসপোরা ব্রিটেনে বেশ প্রশংসার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টসহ স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা নিষ্ঠার সঙ্গে ব্রিটেনের উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে তারা বাংলাদেশের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছেন।

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ব্রিটেনের অব্যাহত সমর্থন কামনা করেন। বাংলাদেশ পার্লামেন্টের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি ব্রিটিশ স্পিকারকে আমন্ত্রণ জানান। স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েল আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, সাক্ষাৎকালে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজ সাইদা মুনা তাসনিম ও যুগ্মসচিব এম এ কামাল বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন :