টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় মূলহোতা গ্রেফতার

প্রকাশিত : ৪ আগস্ট ২০২২

বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর ঢাকামুখী একটি নৈশকোচে যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি এবং এক যাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাত সদস্যের নাম রাজা মিয়া (৩২)।

পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত রাজা মিয়া পেশাগতভাবে একজন ড্রাইভার। সে কালিহাতী উপজেলার মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে। রাজা দীর্ঘদিন ধরে টাঙ্গাইল থেকে চন্দ্রামুখী ঝটিকা পরিবহনের ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত আছে। রাজা ডাকাতির ঘটনায় মূল হোতা বলেও জানায় পুলিশ।

জানা যায়, ২৪-২৫ জন যাত্রী নিয়ে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ পৌঁছালে সেখান থেকে কয়েকজন ডাকাত যাত্রীবেশে ওই বাসে উঠে পড়েন। এরপর বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর ডাকাতদল সেটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। তারা বাসে থাকা সকল যাত্রীর হাত, পা ও চোখ বেঁধে মারধর ও লুটপাট করে। এ সময় বাসের ভেতরেই এক নারী যাত্রীকে ডাকাতদল ধর্ষণ করে। পরে বুধবার টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বাসটি বালুর ডিবির মধ্যে উল্টিয়ে রেখে পালিয়ে যায় ডাকাতদল।

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন (বিপিএম) যাত্রীদের বরাত দিয়ে জানান, বাসটি সিরাজগঞ্জের কাছাকাছি দিবারাত্রি হোটেলে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য বিরতি দেয়। রাত দেড়টার দিকে আবার যাত্রা শুরু করে। পথে কাঁধে ব্যাগ বহন করা ১০-১২ জন তরুণ যাত্রী উঠেন। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর যাত্রীবেশে থাকা ওই তরুণ দল অস্ত্রের মুখে একে একে যাত্রীদের সবাইকে বেঁধে ফেলে। কয়েক মিনিটের মধ্যে সব যাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেয়। এরপর এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে তারা। বাসটি বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে তিন ঘণ্টার মতো নিয়ন্ত্রণে রাখে তারা। পরে পথ পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালির ঢিবিতে বাসটি উল্টিয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।

ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় বাসের এক যাত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন :