অনৈতিক কাজের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যা; মূল আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত : ৪ আগস্ট ২০২২

বগুড়ার আদমদীঘিতে মর্জিনা বেগম (৩৫) নামের এক নারীকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল আসামি আবু জিহাদ ওরফে জেয়াদ মিয়া (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট ) ভোর ৩.৩০ ঘটিকায় মুরইল বাজার এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আবু জিয়াদ কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি থানার পূরব মাচবান্দা (পাত্রখাতা হাজিপাড়া) গ্রামের মৃত বেলাল হোসেনের ছেলে। আবু জিহাদ আদমদীঘি থানার মুরইল বাজার এলাকায় ভগ্নিপতি সালাউদ্দিনের বাসায় থাকতেন ।

পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে অফিসার ইনচার্জ মোঃ রেজাউল করিম রেজা বলেন, নিহত মর্জিনা বেগম প্রায় চার বছর ধরে পার্শ্ববর্তী দুপচাঁচিয়া উপজেলায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি মাঝে মধ্যে আদমদীঘি উপজেলার নিজ এলাকায় আসতেন। এরই এক পযার্য়ে আসামি আবু জিহাদের সাথে অনৈতিক কাজক্রমে লিপ্ত হন মর্জিনা। গত ২৭জুলাই দিবাগত রাতে অনৈতিক কাজ কর্মের টাকা পয়সা নিয়ে বিরোধের জেরে মর্জিনাকে শাসরুদ্ধ করে হত্যা করে জিহাদ। এরপর মুরইল বাজারের উত্তরে মাঠের মধ্যে নিহতের মরদেহ পুকুরে ফেলে দেন। গত ২৮ জুলাই বাজারের পাশে কোচপুকুরিয়া নামক স্থান থেকে মর্জিনা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মরদেহ উদ্ধারের পরে আদমদীঘি থানায় অজ্ঞাত নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

এ ঘটনার ৮ দিন পর বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট ) ভোর ৩.৩০ ঘটিকায় মুরইল বাজার এলাকা হতে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি আবু জিহাদকে ওরফে জেয়াদ মিয়া গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী স্যারের দিকনির্দেশনায় আদমদিঘি সার্কেল নাজরান রউফ স্যারের তত্ত্বাবধানে তদন্তের মাধ্যমে আসামিকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কোর্টের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতে আসামি নিজের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

আপনার মতামত লিখুন :