শিশুমনে মসজিদের ভালোবাসা

প্রকাশিত : ৫ আগস্ট ২০২২

শিশুদের মনে ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করা অভিভাবকদের অন্যতম কর্তব্য; বিশেষ করে মসজিদের সঙ্গে সম্পর্ক জুড়ে দিলে শিশুমনে নৈতিকতা ও শুদ্ধ জীবনযাপনের বীজ অঙ্কুরিত হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা নামাজকে অশ্লীলতা ও পাপাচার থেকে মুক্তির মাধ্যম বলেছেন।

মহানবী (সা.) শিশুদের নামাজে অভ্যস্ত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করতেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের বাচ্চাদের সাত বছর বয়স থেকে নামাজের নির্দেশ দাও। আর বয়স দশ বছর হয়ে গেলে নামাজে অবহেলা করার জন্য শাস্তি দাও।’ (আবু দাউদ) তাই শিশুদের যখন মসজিদে নিয়ে যাওয়া হবে, তখন মনে নামাজের ভালোবাসা তৈরি হবে।

মহানবী (সা.) নিজেও শিশুদের মসজিদে নিয়ে যেতেন। এক হাদিসে আবু কাতাদা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) তাঁর নাতনি উমামাকে নিয়ে মসজিদে আসেন। তাকে কাঁধে রেখেই তিনি নামাজ শুরু করেন। সিজদায় যাওয়ার সময় তাকে নামিয়ে দিতেন এবং ওঠার সময় পুনরায় তুলে নিতেন।’ (বুখারি)

তোমরা তোমাদের বাচ্চাদের সাত বছর বয়স থেকে নামাজের নির্দেশ দাও। আর বয়স দশ বছর হয়ে গেলে নামাজে অবহেলা করার জন্য শাস্তি দাও।

অন্য হাদিসে এসেছে, একদিন নবী (সা.) সিজদারত অবস্থায় তাঁর নাতি হাসান ও হুসাইন পিঠে চড়ে বসে। মহানবী (সা.) তাদের নামিয়ে দিলেন না, যতক্ষণ তারা নিজ থেকে নেমে পড়েছে। এতে দীর্ঘক্ষণ তাঁকে সিজদায় থাকতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার নাতিরা আমার পিঠে চড়ে বসেছিল। তাদের বিরক্ত করতে চাইনি।’ (নাসায়ি)

মসজিদে এসে শিশুদের হাসাহাসি, উচ্চ আওয়াজে কথা বলা, হই-হুল্লোড় করা স্বাভাবিক। এসবে বিরক্ত না হয়ে তাদের ভালোভাবে মসজিদের আদব সম্পর্কে বোঝালে তারা ধীরে ধীরে শিখে যাবে। তাদের প্রতি কঠোরতা করা ঠিক নয়। তবে একান্ত অবুঝ শিশুকে মসজিদে নিয়ে মসজিদের পরিবেশ নষ্ট করা উচিত নয়।

লেখক: মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক

আপনার মতামত লিখুন :