বগুড়ায় চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের এসআইকে প্রত্যাহার

প্রকাশিত : ৬ আগস্ট ২০২২

চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের এক উপপরিদর্শককে (এসআই) প্রত্যাহার করেছে বগুড়া পুলিশ সুপার। এ ঘটনায় গঠন করা হয়েছে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টায় আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।

প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বগুড়া সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার বিকেলে চাঁদাবাজির অভিযোগে তাঁকে স্থানীয়রা অবরুদ্ধ করে রাখেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এসআই মাসুদ রানা তাঁর সোর্স ইকবালকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার দুপুরের পর নাটাইপাড়ার তরুণ কুমার শীলের বাসায় যান। প্রথমে তাঁরা তরুণ শীলের মোবাইল ফোন জব্দ করেন। এ সময় ওই বাসার ভেতর কয়েকজন যুবক অনলাইনে জুয়া খেলছিল। পুলিশের সোর্স ইকবাল তাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। বাড়ির লোকজন ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ শুরু করলে এসআই মাসুদ রানা তাদেরকে মারপিট শুরু করেন। এ সময় বাড়ির লোকজন এবং প্রতিবেশীরা মিলে এসআই মাসুদ রানা ও সোর্স ইকবালকে অবরুদ্ধ করেন। খবর পেয়ে সদর থানা-পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে আনে।

পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, শহরের নাটাইপাড়া এলাকায় জুয়া খেলা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে সেখানে যান এসআই মাসুদ রানা এবং তার সোর্স ইকবাল হোসেন। পরবর্তীতে অভিযোগ পাওয়া যায় তাঁরা সেখানে চাঁদা দাবি করেছেন। এ খবর পাওয়া মাত্র তাঁকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করেছি। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত ইসলাম এবং পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক (অপরাধ) লুৎফর রহমানকে নিয়ে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে কমিটি।’

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, ‘এসআই মাসুদ রানাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাঁর সোর্স ইকবাল থানায় আটক রয়েছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন :