হিরো আলমকে নিয়ে বিবিসির সংবাদ ভিত্তিহীন: পুলিশ

প্রকাশিত : ৮ আগস্ট ২০২২

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে হিরো আলমকে গ্রেপ্তার বা ডিবি কার্যালয়ে আটক করে রাখা হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ প্রসঙ্গে বক্তব্য দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি জানায়, বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসসহ কিছু দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বা দীর্ঘসময় ডিবি কার্যালয়ে আটক করে রাখা হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।রবিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেনের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল তথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার নিজস্ব সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও কনটেন্ট শেয়ার করে থাকেন। এসব কনটেন্টের কিছু অংশে বিধিবহির্ভূতভাবে পুলিশের পোশাক পরে আপত্তিজনকভাবে কিছু অভিনয় প্রদর্শিত হয়; যা আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বিভিন্ন ধরনের সংগীত গেয়ে তা প্রচার করেন, যার বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে জনসাধারণ কর্তৃক আপত্তি উত্থাপিত হয়।

বিকৃতভাবে পুলিশের পোশাক পরে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা এবং বিভিন্ন প্রতিথযশা শিল্পী ও কলাকুশলীদের গান বিকৃত সুরে উপস্থাপন সম্পর্কিত তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রসঙ্গে তাকে অবহিত ও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডিবি কার্যালয়ে গত ২৭ জুলাই সকালে ডাকা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে ওইদিন দুপুরে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম ডিএমপির গোয়েন্দা কার্যালয় ত্যাগ করেন।

ইতোমধ্যে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসসহ কিছু দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বা দীর্ঘসময় ডিবি কার্যালয়ে আটক করে রাখা হয়েছে মর্মে সংবাদ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে।

আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে আটক বা গ্রেপ্তারের বিষয়টি আদৌ তথ্যভিত্তিক নয়। গত ২৭ জুলাই হিরো আলমকে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেপ্তার বা আটক করেনি, বরং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন-অর-রশিদ বলেন, হিরো আলমের বিরুদ্ধে ডিবি সাইবার ক্রাইম বিভাগের কাছে অজস্র অভিযোগ। এ কারণেই তাকে ডাকা হয়েছিল।

তিনি বলেন, হিরো আলমের কথা আর কী বলব! তিনি অনুমতি ছাড়া পুলিশের পোশাক পরেছেন। কনস্টেবলের ড্রেস পরে এসপি ডিআইজির অভিনয় করেছেন। হিরো আলম যেভাবে গান গান, তাতে কৃষ্টি-কালচার পুরোটাই চেঞ্জ করে দিয়েছেন।

হারুন-অর-রশিদ বলেন, আমরা জিজ্ঞাসা করেছি, আপনি এসব কেন করেন? তখন হিরো আলম আমাদের বলেছেন, আমি আর এসব করব না। আমি আর পুলিশের পোশাক পরব না। রবীন্দ্র-নজরুল সংগীত গাইব না।

ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিরো আলম অভিযোগ করেন, তাকে পুলিশ হিরো নাম পরিবর্তন করতে বলেছে। এ ছাড়া তিনি আরও বেশ কিছু অভিযোগ করেন পুলিশের বিরুদ্ধে। এর কয়েকদিন পর বিশ্ব গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন হিরো আলম।

আপনার মতামত লিখুন :