নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজছাত্রকে বিয়ে করা শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আটক করা হয়েছে তার কলেজছাত্র স্বামী মামুনকে। রবিবার (১৪ই আগস্ট) ভোরে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং মামুন নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
এলাকাবাসী জানান, আজ রাত ৩টার দিকে তার স্বামী মামুন এলাকাবাসীকে ডেকে জানান, তার স্ত্রী খায়রুন নাহার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে তার ঘরে মরদেহ মেঝেতে সোয়ানো অবস্থায় দেখতে পান। এ বিষয়ে সন্দেহ হলে এলাকাবাসী মামুনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করছে এবং পরে মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে মামুনকে থানায় নিয়ে গেছে বলে জানান পুলিশ।
তবে বাসার কেয়ারটেকার জানান, রাত্রি ২টার দিকে মামুন বাসা থেকে বের হয়ে যায় তারপরে ৩টার দিকে বাসায় ফিরে সবাইকে ডাকাডাকি শুরু করে যে তার স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে তার ঘরে ঢুকে মেঝেতে মরদেহ শোয়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। গত ৩১শে জুলাই তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে ২০২১ সালের ২৪শে জুন তাদের প্রথম পরিচয়। তারপর গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। ২০২১ সালের ১২ই ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে কলেজছাত্র মামুন ও শিক্ষিকা খায়রুন নাহার গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ৬ মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়।
এর আগে ওই শিক্ষিকা বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী বাঘা উপজেলার এক ছেলেকে। পারিবারিক কলহে সেই সংসার বেশি দিন টিকেনি। প্রথম স্বামীর ঘরে এক সন্তান রয়েছে বলেও জানা গেছে।