পাকিস্তানের ইসলামাবাদে জাতীয় শোক দিবস পালিত

প্রকাশিত : ১৬ আগস্ট ২০২২

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস পালন করেছে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন। এ উপলক্ষে দূতালয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবার এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে যোগদানকারী সকলে কালো পোশাক পরিধান ও কালোব্যাজ ধারণ করেন। সকালে সকলের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাইকমিশনার ও হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। দূতালয় প্রাঙ্গণে পবিত্র কোরআনখানির আয়োজন করা হয়। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ১৫ জন হাফেজ কোরআনখানিতে অংশ নেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে স্মরণসভার সূচনা হয়। এরপরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা পর্বে বক্তাগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান, জীবন ও কর্মের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো তুলে ধরেন। তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী তার বক্তব্যে শোকাবহ এই দিনে জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুর সাথে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে সকল শাহাদাতবরণকারীদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্বাধীনতার রূপকার। তাঁর আপোষহীন বলিষ্ট নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন, সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ৬৬ এর ৬ দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং ৭০এর নির্বাচনসহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাঙ্গালির মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন।

আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক ‘‘মুজিব আমার পিতা’’ শিরোনামে একটি প্রামাণ্য ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরিশেষে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও ফাতেহা অনুষ্ঠিত হয়।

আপনার মতামত লিখুন :