বিকেলে হাসপাতালে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে

প্রকাশিত : ২২ আগস্ট ২০২২

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আবারও হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। আজ সোমবার বিকেল ৩টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে তাকে। বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশক্রমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য বিকেলে ম্যাডাম এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। নিয়মিত চেকআপের অংশ হিসেবেই তিনি হাসপাতালে যাচ্ছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সর্বশেষ গত ১১ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার হৃদপিন্ডের ব্লক অপসারণ করে একটি ‘স্টেন্ট’ বসানো হয়েছিলো। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাতেও তার সাজার রায় আসে।

দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। শর্ত দেওয়া হয়, তাকে দেশেই থাকতে হবে। কারাগার থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা ফিরোজায় ওঠেন, এখনও তিনি সেখানেই থাকছেন। ২০২১ সালে এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে ছয় দফায় ঢাকার বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে হৃদপিন্ডের রক্তনালীতে ব্লক, আর্থ্রাটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত বছর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকরা। নানা জটিলতার উন্নত চিকিতসার দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম এস্কান্দার। কিন্তু সাময়িক মুক্তির শর্তে বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করেছে সরকার।

আপনার মতামত লিখুন :