উপকুলে ইলিশের ভরা মৌসুমে দুর্দিনে গলাচিপা ও রাঙ্গাবালীর মৎস্যজীবীরা

প্রকাশিত : ২২ আগস্ট ২০২২

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপা ও রাঙ্গাবালীতে ইলিশের ভরা মৌসুমেও জেলেদের দুর্দিন যেন কাটছেই না। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর দফায় দফায় বৈরি আবহাওয়ায় মাছ শিকারে গিয়ে খালি হাতে ফিরছেন উপকূলের মৎস্যজীবীরা। তারা জানান, গত দুই সপ্তাহে ধরাদেনা করে মাছ শিকারে গেলেও সাগর উত্তাল থাকায় ফিরে এসেছেন। এতে ভারি হয়েছে ঋণের বোঝা।

জেলেরা বলেন, নিম্নচাপে উত্তাল সাগরের অনেকের ট্রলার এবং জালপাল্লা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেসব মেরামত করে মাছ শিকারে যেতে হবে। এ পেশায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে জানিয়ে তারা বলেন, গত পাঁচ আগস্ট থেকে ডিজেল প্রতি লিটারে ৩৪ টাকা বেড়েছে। বাড়তি দামে জ্বালানি তেল ও রসদ কিনে মাছ শিকারে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দিন শেষে যে মাছ ধরা পড়ে তাতে খরচ এবং জেলেদের মজুরি দিয়ে ট্রলার মালিকে পোষাচ্ছে না।

আগুনমুখা, দারছিড়া, বুড়াগৌরাঙ্গ, রাবনাবাদ ও ডিগ্রি নদীর জেলেরা জানান, মৌসুমের শুরু থেকেই নদ-নদীতে ইলিশ সঙ্কট দেখা গেছে। মাছ শিকারে গিয়ে এখন জ্বালানি খরচই উঠছে না। তাই অনেকের ট্রলার ঘাটে অথবা তীরে তুলে রেখেছেন।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, একদিকে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে কয়েক দফায় সাগর উত্তাল ছিল। মাছ শিকারে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে জেলেদের। নদ-নদীতে মাছ তেমন ধরা পড়ছে না। এসব কারণে জেলেরা প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমন অবস্থায় জীবিকার তাগিদে তারা পেশা বদলে ফেলতে পারেন।

উল্লেখ্য,গলাচিপা ও রাঙ্গাবালীতে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ২৪ হাজার ১৩ শো জন। তবে জেলেদের দাবি, নিবন্ধনের বাহিরেও আরও অনেক জেলে রয়েছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :