বিয়েবাড়িতে বকশিশ দেওয়া নিয়ে মারামারি বরসহ কারাগারে ৫

প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট ২০২২

নীলফামারীর ডোমারে বিয়ের অনুষ্ঠানে ২০ টাকা বকশিশ দেওয়া-নেওয়াকে কেন্দ্র করে হট্টগোল ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কনের বাবা থানায় খবর দিলে বরসহ পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। পরে সোমবার (২২ আগস্ট) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল তহশিলদারপাড়া এলাকার মৃত মজির উদ্দিনের ছেলে বর রবিউল ইসলাম (২৫), তার চাচা মনছুর আলী (৫৫), মনছুর আলীর দুই ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম (২৩) ও আলীমুল ইসলাম (২০) এবং বরের নিকটাত্মীয় পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের সোনাহার নুল্লাপাড়া এলাকার মৃত জহুর আলীর ছেলে আল-আমীন (২৮)।

জানা যায়, গত রবিবার রাত সাড়ে ১০টায় জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল তহশিলদারপাড়া এলাকার রবিউল ইসলাম ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের জামাতপাড়া এলাকার আজিজুল ইসলামের মেয়ে লিমা আক্তারকে বিয়ে করতে যান। সেখানে বরকে মালা পরিয়ে বরণ করে নেয় কনেপক্ষ। এসময় স্টেজে বরের পাশে বসার যায়গায় বসতে বকশিস দাবি করে কনেপক্ষের লোকজন। তখন বরপক্ষ তাদের ২০ টাকা বকশিস দেয়। মাত্র ২০ টাকা বকশিস দেওয়াকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল শুরু হয়। একপর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়। পরে, কনের বাবা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে বরসহ পাঁচজনকে আটক করে।

এ বিষয়ে কনের বাবা আজিজুল ইসলাম বলেন, ’বরপক্ষের লোকজন বিয়েতে এসে গণ্ডগোল ও মারামারি করছিল। আমাদের বাড়িতে এসে যদি তারা এরকম আচরণ করে তাহলে তাদের বাড়িতে আমার মেয়ে গেলে তার সঙ্গে আরও খারাপ ব্যবহার করবে বলে আমার মনে হচ্ছে। বরযাত্রী আসার আগে বরপক্ষ আমার কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে এক লাখ টাকা নিয়েছে। বিয়ের আয়োজনে আরও এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আমি গরিব মানুষ। আমার জমানো সব টাকা শেষ। এখন মেয়েকে নিয়ে কী করব?’

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে হরিণচড়া ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল রানা বলেন, ’রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরকে মালা পড়িয়ে বরণ করে নেয় কনেপক্ষ। এসময় স্টেজে বরের পাশে বসার যায়গায় বসতে বকশিশ দাবি করে কনেপক্ষের লোক। এসময় বরপক্ষ ২০ টাকা বকশিশ দেয়। মাত্র ২০ টাকা বকশিশ দেওয়াকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল লাগলে একপর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়। পরে পুলিশ এসে পাঁচজনকে নিয়ে যায়।’

জলঢাকা ধর্মপাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, ’বরপক্ষ সমঝোতা করে বিয়ে সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করেছে কিন্তু কনের বাবা রাজি হননি। ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উননবী বলেন, ’বিয়েতে বর ও কনেপক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল হলে পাঁচজনকে আটক করা হয়। সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :