মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের সাবেক ইমামের ১০ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট ২০২২

সৌদি আরবের আপিল আদালত মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের সাবেক ইমাম শেখ সালেহ আল তালিবকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আরব বিশ্বে গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করা সংস্থা ডন এক টুইটে এ রায়ের কথা জানিয়েছে। টুইটে লেখা হয়েছে, রিয়াদের একটি বিশেষ আদালত শেখ সালেহ আল তালিবের খালাসের রায় বাতিল করে এ রায় দিয়েছেন।

সৌদি বন্দিদের নিয়ে কাজ করা প্রিজনার্স অফ কনসায়েন্স অ্যাকাউন্টও খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তারা বলছে, আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে আপিল আদালত ইমামের খালাসের রায় বাতিল করে ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

২০১৮ সালের আগস্টে সৌদি কর্তৃপক্ষ গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম সালেহ আল তালিবকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তার মতো আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সালেহ আল তালিবকে ঠিক কী কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সৌদি কর্তৃপক্ষও আনুষ্ঠানকিভাবে কোনো কারণে কথা বলেনি।

তবে একটি খুতবায় কিছু বিষয়ে সমালোচনার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কনসার্ট এবং কিছু অনুষ্ঠানের বিষয়ে সমালোচনা করেছিলেন তিনি। তার মতে, ওই সব অনুষ্ঠান সৌদির ধর্মীয় বিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তালিবের বিশ্বব্যাপী একটা পরিচিতি রয়েছে, হাজার হাজার মানুষ ইউটিউবে তার খুতবা ও কুরআন তিলাওয়াত শোনেন।

শেখ সালেহ আল তালিবের জন্ম ১৯৭৪ সালের ২৩ জানুয়ারি। তার পরিবার প্রাচীন আরবের বিখ্যাত পরিবারগুলোর একটি। বিজ্ঞান, বিচারব্যবস্থা, শরিয়া বিজ্ঞানে তার পরিবারের বিশেষ অবদান রয়েছে।

শেখ আল তালিব নিজেও রিয়াদের উচ্চ এবং জরুরি আদালতের পাশাপাশি অন্যান্য আদালতে বিচারক হিসাবে তিন বছর কাজ করেছেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত মক্কা আল-মুকাররামার আদালতে বিচারক ছিলেন তিনি। এমবিএস নামে পরিচিত মোহাম্মদ বিন সালমান ২০১৭ সালে সৌদি যুবরাজ হওয়ার পর বেশ কজন ইমাম, নারী অধিকার কর্মী এবং ক্ষমতাসীন রাজপরিবারের সদস্যকে আটক করা হয়।

এদের মধ্যে রয়েছেন বিশিষ্ট ইসলাম প্রচারক সালমান আল-আওদাহ, আওয়াদ আল-কারনি, ফারহান আল-মালকি, মোস্তফা হাসান এবং সাফার আল-হাওয়ালি।

সূত্র: দ্য সিয়াসাত ডেইলি, মিডল ইস্ট আই

আপনার মতামত লিখুন :