তীব্র হচ্ছে গৃহযুদ্ধ, লিবিয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত ২৩

প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট ২০২২

লিবিয়ায় সশস্ত্র দুই মিলিশিয়া গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। এতে কমেডিয়ান মুস্তফা বারাত নিহত হন। এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সহিংসতা বন্ধে অবিলম্বে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। শনিবার (২৭ আগস্ট) দেশটির রাজধানী ত্রিপোলিতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের পর থেকে লিবিয়া বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে। সে সময় দীর্ঘদিনের শাসক কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হন। তা সত্ত্বেও, দেশটির মানুষ গত দুই বছরে তুলনামূলকভাবে শান্ত সময় পার করেছে।

শনিবার সন্ধ্যা থেকে হঠাৎই উত্তেজনা শুরু হয় সশস্ত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। রাস্তায় নেমে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে তারা। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের সশস্ত্র বাহিনী ফাথি বাশাঘার অনুগত মিলিশিয়াদের একটি বহরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এতেই সংঘর্ষ আরও ছড়িয়ে পড়ে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। শহরের বিভিন্ন জায়গায় কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। এতে ত্রিপোলির জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জরুরি সেবা বিভাগগুলো বলছে, সংঘর্ষের কবলে পড়ে হাসপাতালও। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে অন্যত্র।

জাতিসংঘের লিবিয়া মিশন বলছে যে সংঘর্ষে ‘বেসামরিক জনবহুল এলাকায় নির্বিচারে মাঝারি এবং ভারী গোলাবর্ষণ হয়েছে’। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে তারা।

তেল-সমৃদ্ধ দেশটিতে আফ্রিকার মধ্যে একসময় জীবনযাত্রার সর্বোচ্চ মান ছিল। যেখানে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাব্যবস্থা চালু ছিল। কিন্তু ২০১১ সাল থেকে যুদ্ধের কারণে বিধ্বস্ত হয় ত্রিপোলি।

সূত্র: বিবিসি

আপনার মতামত লিখুন :