নোয়াখালীতে আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২০

প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট ২০২২

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাত বছর বয়সী এক শিশু এবং দুই পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। গতকাল সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ডুমুরুয়া ইউনিয়নের গাজিরহাট মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষকে দুই দিকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তেল, গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভোলায় বিএনপির দুই নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে উপজেলার ডুমুরুয়া ইউনিয়নের ইটভাটা মাঠে উপজেলা বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা দেয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় ইটপাটকেল ও লাঠির আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা ধাওয়া করলে পিছু হটে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমান বলেন, তেল, গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ পুষে ওঠেছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা। কিন্তু বিএনপি কর্মিদের ধাওয়া খেয়ে তারা মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যায়। নেতাকর্মিদের আহত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে গিয়ে পড়ে ও ইটপাটকেলের আঘাতে বিএনপির ৫-৬জন কর্মি আঘাত পেয়েছে।

সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ডুমুরুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন কানন বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ডুমুরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন একই ইউনিয়নের গাজিরহাট মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

সমাবেশ শেষে আমার নেতৃত্বে গাজির হাট মোড় থেকে এক বিক্ষাভ মিছিল গাজিরহাট বাজার প্রদক্ষিণ করে। একপর্যায়ে আমাদের মিছিলে বিএনপি নেতা কাজী মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির মিছিল থেকে গাজির টেক বাজারের পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালানো হয়। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গাজিরহাট মোড়ের বেশ কয়েকটি দোকানপাট এবং ডুমুরুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাংচুর চালায়। এ সময় আমাদের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এক শিশুসহ ২জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে পরে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, দুই পুলিশসহ তিনজন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :