জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে ঘুরতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে বর্জ্য পোড়ানোর প্রতিবাদ ও তা মোবাইলে ধারণ করায় এক পরিবেশকর্মীকে আটকে রেখে ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রায় দেড় ঘণ্টা আটক রেখে মানসিক হেনস্থার পর মোবাইল থেকে ছবি মুচে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সোমবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে উদ্যানের ভেতর বর্জ্য পোড়ানোর চিত্র ধারণ করায় সেভ ফিউচার বাংলাদেশ নামে একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক নয়ন সরকারকে এই হয়রানির ঘটনা ঘটে। পরে বেলা ১২টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এবিষয়ে নয়ন সরকার ঢাকা মেইলকে বলেন, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে বছরের পর বছর ধরে ময়লা-আবর্জনা পোড়াচ্ছে; তাদের সেসব ছবি ও ভিডিও ধারণ করার কারণে আমাকে সোমবার আনুমানিক সকাল ১১টায় আটক করে। আনুমানিক সাড়ে ১২টার পরে ছাড়ে; ফোন জব্দ করে; এরমধ্যে আমার দিকে মারমুখী হওয়াসহ আমাকে হেনস্থা করা হয়েছে।
এ সময় তাকে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিয়েছে জানিয়ে নয়ন বলেন, পোড়ানো বর্জ্য আমাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করে। পাশ থেকে বলতে থাকে ‘পোড়ানো বর্জ্য আইনা ওরে খাওয়ায়ে দে’। আমার ফোনের ২ হাজারের বেশি ছবি ডিলিট করেছে। পরে স্টুডেন্ট আইডির ফটোকপি ও মুচলেকা নিয়ে আমাকে ছেড়েছে।
এমন ঘটনার বিচার দাবি করে নয়ন জানান, এই লড়াই আমি চালিয়ে যেতে চাই। আপনাদের পাশে চাই। কারণ আমরা বিশুদ্ধ বায়ু ও বিশুদ্ধ উদ্যান চাই। জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের ভেতরে বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ করতে হবে এবং উদ্যানে প্ল্যাস্টিক প্যাকেটজাত খাবার নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের পরিচালক ড. মো. জাহিদুর রহমান মিয়া। তিনি বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। এটা ঘটার কথাই না। আমি খোঁজ নিচ্ছি। আগামীতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে সে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
উল্লেখ্য, সংরক্ষিত অঞ্চলে আগুন জ্বালানো দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও আইনের তোয়াক্কা না করেই বর্জ্য অপসারণে আগুনে পোড়াচ্ছেন তারা।