পাকিস্তানে স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১০৬১

প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট ২০২২

পকিস্তানে গত জুন মাস থেকে শুরু হওয়া মৌসুমি বন্যায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সোমবার একথা জানায়। কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা পার্বত্য উত্তরাঞ্চলীয় বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলোতে পৌঁছার চেষ্টা করছে।

পাকিস্তান সেনা বাহিনী বলছে তাদের হেলিকপ্টার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্যার পানিতে আটকে পড়া শত শত গ্রামবাসীকে উদ্ধার করেছে। বন্যার তোড়ে রাস্তা এবং সেতু ভেঙে পড়ায় এসব এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে প্রত্যন্ত আরো অনেক এলাকায় পৌঁছন যাচ্ছে না।

কিছু গ্রামবাসী বলেছেন বিপজ্জনক অবস্থার মধ্যে দিয়ে দুদিন ধরে পায়ে হেঁটে তারা নিরাপদ জায়গায় পৌঁছেছেন। সিন্ধু নদ ও তার শাখা নদীগুলোর অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। কর্মকর্তারা জানান, এ বছর অতিরিক্ত মৌসুমী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় পাকিস্তানে তিন কোটিরও অধিক লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি সাত জনে একজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

১০ লাখেরও বেশি লোক তাদের ঘর-বাড়ী হারিয়েছেন। তাছাড়া তিন হাজার ৪৫৭ কিলোমিটার রাস্তা এবং ১৫৭টি সেতু ভেঙ্গে গেছে। সবচেয়ে বিপর্যয় তৈরির হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। বৃষ্টির পানির তোড়ে নদীর পাড় ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবে গেছে। অল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর ঘরবাড়ি হয় বিধ্বস্ত হয়েছে না হয় পানির নিচে ডুবে রয়েছে। হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে শুকনো জায়গায় পালিয়েছে।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের এক যুবক বলেন, কয়েক বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করে আমরা যে বাড়ি বানিয়েছিলাম, তা চোখের সামনে ডুবে গেল। রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেখলাম কীভাবে আমাদের স্বপ্ন পানির নিচে চলে গেলে।

আপনার মতামত লিখুন :