যশোরে ১৭ ইঞ্চি একটি গরুর দাম ৫ লাখ টাকা

প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট ২০২২

যশোরের মণিরামপুরের খর্বাকৃতির গরু ‘ঝন্টু’। প্রায় ৫ মাস বয়সের এঁড়ে বাছুর ‘ঝন্টু’র উচ্চতা ১৭ ইঞ্চি এবং দৈর্ঘ্য ৩১ ইঞ্চি। ওজনে আনুমানিক ২০ কেজি হবে। পাঁচ মাস বয়সী এই বাছুরটি বিশ্বের সবচেয়ে খর্বাকৃতির গরু বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৫ সালে গিনেজ রেকর্ডে ভারতের কেরালার ‘মানিক্যান’ গরুর উচ্চতা ছিল ২৪ ইঞ্চি এবং ওজন ছিল ৪০ কেজি। পরে এদেশের আশুলিয়ার একটি ফার্মে ‘রানী’ নামের গরুটি গিনেজ রেকর্ডে স্থান পায়। এই গরুটির উচ্চতা ছিল ২০ ইঞ্চি এবং ওজন ছিল ২৬ কেজি। যে কারণে ঝন্টু নামের এই গরুটি গিনেজ রেকর্ডে স্থান পেতে পারে বলে অনেকের ধারণা।

গত রোজার ঈদের পরদিন মণিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খামারবাড়ি গ্রামের সরোয়ারের বাড়িতে পোষা গাভী এই এঁড়েবাছুরটি জন্ম দেয়। জন্মের পর থেকে বাছুরটি নিয়ে বাড়িতে আনন্দের শেষ নেই। দূর-দূরন্ত থেকে খর্বাকৃতির এড়ে বাছুরটি এক নজরে দেখতে বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করেন। বাড়ির ছোট বড় সবাই আদর করে নাম রেখেছে ঝন্টু। বাড়ির সকলের আদরের গরুটি স্বাভাবিক গরুর মতোই খাওয়া দাওয়া করে। কিন্তু তারপরও উচ্চতা, দৈর্ঘ্যে এমনকি ওজনেও বৃদ্ধি পায়নি।ইতোমধ্যে বাছুরটি কিনতে চাচ্ছেন অনেকেই। যার দাম হাঁকানো হয়েছে ৫ লাখ টাকা। দেড় লাখ টাকায় কিনতে চাইলেও দেননি বাছুর মালিক। মালিক সরোয়ার হোসেন জানান, তার বাড়িতে তিনটি গাভী রয়েছে।

এরমধ্যে একটি গাভী খর্বাকৃতির এঁড়েবাছুরটির জন্ম দেয়। দুই দিন আগে পাবনা জেলা থেকে কয়েকজন লোক বাড়িতে আসেন। বাছুরটি কিনতে চান। তাদের কাছে বাছুরটির দাম চান ৫ লাখ টাকা। কিন্তু তারা দেড় লাখ টাকা দিতে চাইলেও বিক্রি করেনি। গাভীর বীজ (সিমেন) বিক্রয়কারী সাইফুল কবীর জানান, তিনি এডিএল (আমেরিকান ডেইরি লিমিটেড) কোম্পানির সিমেন (বীজ) বিক্রি করেন। সরোয়ারের তিন গাভীর জন্য এই সিমেন দেয়া হলেও একটি বামন (খর্বাকৃতির) এঁড়ে বাছুর জন্ম নেয়।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পার্থ প্রতিম রায় জানান, জেনেটিক্যাল কারণে এটি হতে পারে। তবে, বাছুরটি দেখে বাকিটা বলতে পারবো ।

আপনার মতামত লিখুন :