নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও বিএনপি নেতা কর্মীদের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী শাওন প্রধান নিহতের ঘটনায় পুলিশকে আসামি করে বিএনপির করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার বেলা সাড়ে ৪টার দিকে ২০৩ ধারায় এ মামলার আবেদন খারিজ করে দেন নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মোল্লার আদালত। এর আগে আজ রোববার সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বাদী হয়ে এই মামলার আবেদন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন।

আবেদনে প্রধান আসামি করা হয়- ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান কনককে। একই আবেদনে অপর আসামিরা হলেন- সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) নাজমুল হাসান, সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আমীর খসরু, পুলিশের কনস্টেবল শাহরুল আলম, সোহাগ, আরিফ দেওয়ান, ফেরদৌস দেওয়ান, সেলিম, রিপন, যুগল, মামুন, রিয়াজ, হাফিজ, সহকারী উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন, কনস্টেবল জাকির হোসেন, নাঈম, রাকিব, আনিস, সাইদুল, সহকারী উপপরিদর্শক সোহরাব, কনস্টেবল ইনজামামুল, রাসেল, খলিলুর রহমান, মহসীন মিয়া, মোস্তাকিম, শাহাদাৎ, ফখরুল, আরিফ দেওয়ান, দীপক সাহা, শাহীন, ফরিদ উদ্দিন, মুরাদুজ্জামান, শাহীন, কবির হোসেন, মান্নান, রুবেল, সোহাগসহ অজ্ঞাত ১৫০ জনকে।

মামলার বাদী রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বাধীন দেশে সভা–সমাবেশ করা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। নারায়ণগঞ্জে আমাদের শান্তিপূর্ণ র‍্যালিতে পুলিশ বিনা উসকানিতে গুলি করে যুবদল কর্মী শাওনকে হত্যা করেছে। তাকে নিয়ে পুলিশ নাটক তৈরি করতে চায়। আমরা পত্রিকায় দেখেছি ডিবির এসআই মাহফুজুর রহমান কনক চাইনিজ রাইফেল দিয়ে বুক বরাবর গুলি চালিয়েছে। সেই গুলিতেই শাওন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় বিচার চেয়ে বিজ্ঞ আদালতের কাছে মামলার আবেদন করেছি।’

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ উদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘পুলিশের গুলিতেই যুবদল কর্মী শাওন মারা যায়। আমরা এই ঘটনায় ডিবির এসআই মাহফুজুর রহমান কনককে প্রধান করে ৪২ জনের নামে মামলার আবেদন করেছি। আদালতকে এই বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি।