বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা (ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড) কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় অবৈধ প্রবেশ করে অভিযোগে ১৮টি ফিশিং ট্রলারসহ ৫৫ জেলেকে আটক করেছে বনরক্ষীরা। রোববার ভোর ৫টার দিকে শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. সামসুল আরেফিন অভিযান চালিয়ে ১৮টি ফিশিং ট্রলারসহ ওই জেলেদের আটক করেন।

আটক জেলেদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে সুন্দরবন বিভাগ। সুন্দরবনের কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাদিক মাহমুদ জানান, আটক হওয়া ট্রলারের মধ্যে ১০টি সাগরে ইলিশ আহরণের জন্য দুবলা জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ি থেকে পারমিট গ্রহণ করে। সাগরে না গিয়ে এই ১০টিসহ ১৮টি ফিশিং ট্রলার সারা বছরই প্রবেশ নিষিদ্ধ বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা কটকার কাদেরের খালে চলে যায়।

এসব ট্রলারগুলোর মধ্যে ১০টি ইলিশ ধরা জাল ও ৮টিতে ক্ষুদ্র ফাঁসের জাল পাওয়া গেছে। আটক জেলেদের বাগেরহাটের আদালতে পাঠাকে শরণখোলা রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আটক এসব জেলেদের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর ও বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা স্লুইস এলাকায়।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে জন্য শরণখোলা রেঞ্জে কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. সামসুল আরেফিন বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় যায়। এ সময় সারা বছরই বনজীবীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা কটকার কাদেরের খালে অবৈধভাবে প্রবেশ করা ১৮টি মাছ ধরা ট্রলার দেখতে পান। সাথে সাথে অভিযান চালিয়ে ট্রলারসহ ৫৫ জেলেকে আটক করেন তিনি। আটক জেলে ও ট্রলারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।