কুয়াকাটা ক্ষুদ্র জেলেরা আনন্দে ভাসছে

প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

জাহিদুল ইসলাম জাহিদ,কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কুয়াকাটার ক্ষুদ্র জেলেদের মুখে সাগর থেকে প্রচুর ইলিশ মাছ পাওয়া, হাসি ফুটেছে। কিছুটা হলো ঋণ পরিশোধ করতে শুরু করেছে উপকূলের জেলেরা। ট্রলার মালিক আড়ৎদার ব্যস্ততায় কাটাচ্ছে। জেলে পল্লীগুলোতে চলছে আনন্দের ছড়াছড়ি, অধিকাংশ বসতবাড়িতে দেখা যায় নতুন জাল তৈরি করছে, কেউবা ট্রলার সহ মাছ ধরার সরঞ্জাম ধোয়া মোছা ও মেরামত করে নিচ্ছে।

২০ আগস্ট থেকে জেলেদের জালে ধরা পরতে শুরু করে ইলিশ মাছ এখন পর্যন্ত গভীর সমুদ্রের রুপালি ইলিশ নিয়ে আড়ৎদে ফিরছেন জেলে। প্রচুর মাছ পাওয়ায় দ্রুত তারা সেই মাছ তীরে নিয়ে এসেছেন, যাতে করে তড়িঘড়ি করে ভালো দাম পাওয়া যায়। এদিকে মাছের দামও চরা ১কেজি ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০/১৪০০,৭০০ থেকে ৮০০গ্রাম মাছ বিক্রি হচ্ছে ১১০০/১২০০, এদিকে ৪০০থেকে ৫০০ গ্রাম মাছ বর্তমান বাজার ধর ৮০০/১০০০ টাকা পর্যন্ত, এমন ভাল দামে বিক্রি করতে পেরে আনন্দিত জেলে ও আড়ৎদের মালিক ।

জেলে লিটন আকন বলেন, আল্লাহর রহমতে ভালো মাছ পাইতেছি,বেচা বিক্রি ভালো হচ্ছে, মানুষের কিছু ঋণ পরিশোধ করছি। আশা করছি এমন মাছ আল্লাহ রহমাতে সাগরে থাকলে কিছু দিনের মধ্যেই দাইখ দেনা পরিশোধ করতে পারবো।
জেলে মোশারফ মাঝি জানান, সাগরে মাছ আছে, আমাদের জালেও ধরা পড়ছে, মাছের সাইজ অনেক বড়। ভালো দামে বিক্রি করতে পারছি এতেই আমরা সন্তুষ্ট।

আল্লাহর দান ফিস আড়ৎদের মালিক হালিম ব্যাপারী জানান, আড়ৎদে অনেক ইলিশ সহ সাগরের নানা প্রকারের মাছ আসছে। বিশেষ করে খুটা জালের মাছ বেশি আসছে আড়ৎদে । জেলেরা আনন্দ নিয়ে সাগর যাচ্ছে মাছ ধরতে আর এ বছর মাছের দামটাও ভালো পাচ্ছে জেলেরা। আমরা আশা করছি এবার কিছুটা হল জেলেরা ঋণ থেকে মুক্তি পাবে।

কুয়াকাটা আশার আলো জেলে সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ নিজাম শেখ জানালে, আমি জেলেদের সাথে কথা বলেছি, তারা আমাকে বলছে এই মৌসুমের শেষের দিকে তাদের জালে মাছ ধরা পড়ছে তারা অনেকটা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।

পটুয়াখালীর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস,এম, আজহারুল ইসলাম জানান, ৬৫ দিনে মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞার সুফল পেয়েছি, আমরা । এবার যে মাছগুলো ধরেছি সব মাছগুলোই দেখতে সুন্দর কেজির উপরে। এতে করে জেলেরা লাভবান হয়েছে এবং প্রচুর পরিমাণ মাছ ধরা পরছে।

আপনার মতামত লিখুন :