প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগর: অস্বাভাবিক জোয়ারে পানিতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম

প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। লঘুচাপের প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে । গত দুই দিন ধরে টানা মাঝারী থেকে ভারী বর্ষনে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নি¤œ আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। নদ-নদীর পানির উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে দু’দফা জোয়ারে পানিতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার। দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আমন চাষিরা। এদিকে উপক‚লে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শংকায় পায়রা সহ সব বন্দরে ০৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অফিস। সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপক‚ লজুড়ে বিভিন্ন নদ নদীতে বইছে অস্বাভাবিক জোয়ার। ভাঙ্গন কবলিত বেড়িবাঁধ দিয়ে রামনাবাদ নদীর পানি প্রবেশ প্লাবিত হয়েছে লালুয়া, চম্পাপুর, ধানখালী ইউনিয়নের গ্রামীন জনপদ। জোয়ারের পানিতে থৈ থৈ করছে গ্রামের পর গ্রাম। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, পুকুর, ঘেরসহ ফসলী ক্ষেত। ভোগান্তিতে রয়েছে ওইসব এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ। এসব অধিকাংশ পরিবারের রান্নাও হয়নি। অনেক অসহায় দরিদ্র শ্রেণির মানুষ চরম ঝুঁকিতে ঠাঁই নিয়েছেন বেড়িবাঁধে উপর। অমাবস্যা-পূর্ণিমা আসলেই জোয়ারের পানিতে ভাসতে থাকে ওইসব গ্রামের মানুষ এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ধানখালী ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামের বাসিন্দা মো.নাসির উদ্দিন বলেন, বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে প্রতিদিন দুই দফা জোয়ারের পানি প্রবেশ করে মানুষের ঘড়-বাড়ি, ফসলি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। ভাটার সময় পানি কমে গেলেও ফের জোয়ারের সময় ডুবে যায় এসব গ্রাম। এদিকে ট্রলার মলিক মো.ইউসুফ ঘরামি বলেন, বর্তমানে সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই তাদের ট্রলার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নোঙ্গর করে রেখেছেন।

কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য বন্দর সমবায় সমিতির সভাপতি মো.আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান,বর্তমানে সাগর উত্তাল রয়েছে। বেশিরভাগ ট্রালার আড়ৎ ঘাটে এসে নোঙ্গর করে রেখেছে জেলেরা। আবহাওয়া অনুকূলে আসলেই এসব ট্রালার গভীর সমূদ্রে যাবে।

লালুয়ার চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, দফায় দফায় অস্বাভাবিক জোয়ারে এ এলাকার মানুষের বাড়িঘর সম্পদ প্লাবিত হচ্ছে। ভাটার সময় পানি কমে গেলেও ফের জোয়ারের সময় ডুবে থাকে। ওইসব গ্রামের মানুষের দূর্ভোগের সীমা নাই। এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :