সৈয়দপুরে গিয়ে জন্ম নিবন্ধনের চেষ্টা করেছিলেন মরিয়মের মা

প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

রহস্যমোড়া রহিমা বেগম নিখোঁজের ২৭ দিন পর রহিমা খাতুনকে উদ্ধার করা হলেও তার অর্ন্তধান নিয়ে রহস্যের মীমাংসা হচ্ছে না। আলোচিত মামলাটির তদন্ত করতে নেমে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, পিবিআই বলছে, রহিমা খাতুন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদেরকে যে তথ্য দিয়েছিলেন তার সাথে আদালতে দেয়া লিখিত জবানবন্দির অমিল রয়েছে। এছাড়া তিনি জবানবন্দিতে যা বলেছেন, তা বাস্তবতার সাথেও সাংঘর্ষিক।

রহিমা খাতুনকে উদ্ধারের সময় তার আশ্রয়দাতা পরিবারের তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলেও তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এই তিনজনকে মামলার সাক্ষী করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পিবিআই। ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আশ্রয় নেয়া বাড়ির মালিকের সাথে রহিমা খাতুনের শেষ দেখা হয় ২৮ বছর আগে। এত দীর্ঘ সময় পর সেই বাড়ির ঠিকানা ও মালিককে কীভাবে খুঁজে পেলেন, আর কেনই বা সেখানে আশ্রয় নিলেন রহিমা, তদন্তে ঘুরেফিরেই আসছে এই প্রশ্নগুলো।

পিবিআইয়ের কাছে দেয়া বক্তব্য ও আদালতে দেয়া লিখিত জবানবন্দিতে দেখা যায়, রহিমা খাতুন উধাও হন ২৭ আগস্ট। সৈয়দপুর গ্রামে যান ১৭ সেপ্টেম্বর। পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, মাঝখানের ২০ দিন কোথায়, কার কাছে, কী অবস্থায় ছিলেন কিংবা পরিবারের কেউ সহায়তা করেছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৈয়দপুরে অবস্থানের সময় জন্মনিবন্ধনের জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলেন রহিমা খাতুন। তবে স্থানীয়ভাবে নাম, ঠিকানা না থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি। ঐ এলাকায় কেন স্থায়ী হতে চেয়েছিলেন, পিবিআইয়ের এমন প্রশ্নেরও সদুত্তর দিতে পারেননি রহিমা। পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জানান, তার অর্ন্তধান নিয়ে দেয়া বক্তব্যগুলো সাংঘর্ষিক। তদন্ত সংস্থা মনে করছে, অন্তর্ধানের গোটা বিষয়টির সাথে তার স্বামী বেলাল হাওলাদারের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।

আপনার মতামত লিখুন :