সীমান্তে মর্টারশেল কাণ্ডে মিয়ানমারের দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশিত : ৩০ অক্টোবর ২০২২

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা পরিস্থিতি নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক শুরু হয়েছে।

রবিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপে বিজিবির নির্মিত ‘সাউদান পয়েন্ট-এর সম্মেলন কক্ষে দুই দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠকে মিলিত হন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার। এর আগে সকাল ৯টার দিকে দুটি স্পিডবোড যোগে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে এসে পৌঁছান। লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ জানান, বৈঠক শুরু হয়েছে। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমার মংডুর ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ব্রাঞ্চের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাও না ইয়ান শোর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল ও ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখারের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সীমান্তে উত্তেজনা শুরু হয় চলতি বছরের আগস্টে। প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে শুরু হয় ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণ। এর মধ্যে ২৮ আগস্ট মিয়ানমারে ছোড়া দুটি মর্টার শেল এসে পড়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে। তবে বিস্ফোরিত না হওয়ায় কেউ হতাহত হয়নি। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধ বিমান থেকে ছোঁড়া আরও দুটি মর্টার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ে।

একইদিন বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষে উড়ে যায় মিয়ানমারের যুদ্ধ বিমান ও ফাইটিং হেলিকপ্টার। যার কারণে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়ে আতঙ্ক। এরপর আরও কয়েকবার সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটিয়েছে মিয়ানমারের বিজিপি। সবশেষ গত ২৩ অক্টোবর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নতুন করে শুরু হয় গোলাগুলি। যা দুদিন থেমে থেমে অব্যাহত থাকে। তবে এরপর থেকে আর গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি।

আপনার মতামত লিখুন :