কুয়াকাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কর্মের সন্ধানে কর্মচারীরা

প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর ২০২২

জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ২৯৩ টি স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার ১০.৩০ মিনিটে কুয়াকাটা চৌরাস্তা এলাকা থেকে এ অভিযান শুরু করা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সিরাজুম মনিরা ও নঈম উদ্দিন এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ও মহিপুর থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।উচ্ছেদের পর থেকেই কুয়াকাটা বেকারের সংখ্যা বেড়ে গেছে।

পরিসংখ্যানে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে অনেকদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিল। উচ্ছেদের পর থেকেই মালিক কর্মচারী, সহ মোট এক হাজারো অধিক লোক বেকার হয়ে পড়েছে। কুয়াকাটায় স্থায়ী কোন মার্কেট ও জমি না থাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে কর্মসংস্থানের স্থান তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে ছোট বড় ব্যবসা করে আসছিল ৷ আর এই ছোট বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘিরেই চলত হাজারো পরিবার।

এদিকে রাস্তার পাশে দিনমজুরীদের থাকার স্থানগুলো ভেঙে দেওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে তারা ৷ খাওয়া-দাওয়ার চিন্তা বাদ দিয়ে একটু মাথা রাখার জায়গার জন্য এর ওর কাছে আকুতি মিনতি করেও মিলছে না রাত্রি যাপন করার একটু জায়গা৷
এই সময় মোঃ লিমন সরকার বলেন, লেখাপড়ার শেষ করার পরে ব্যবসা করার চিন্তা করি , পরে বাবার অর্থনেই বলে গত দুই বছর ধরে রাস্তার উপরে ছোট্র একটি দোকান দিছিলাম বৃহস্পতিবার তা ভেঙ্গে দেওয়া হইছে তেমন কোন পুজি নাই যে স্থায়ী ভাবে আবার শুরু করব,ব্যবসা। ঘরে স্ত্রী মা সন্তান নিয়ে যে কি হবে সে জন্য র্দুচিন্তায় আছি।

একি সময় হাই হোটেলের মালিক মোঃ আব্দুল হাই সিকদার জানান , আমার খাবার হোটেলে আমি সহ মোট ১৫ জন কর্মচারী ছিল , দোকানপাট উচ্ছেদের এরপর থেকে আমি সহ আমার কর্মচারীরা বেকার হয়ে পড়েছে৷ তিনি আরো বলেন , দোকান ভাঙ্গনের পরের দিন কর্মচারীদের বিদায় দিয়েছি কারণ কুয়াকাটা স্থায়ী কোন ব্যবসার জন্য জমি বরাদ্দ না থাকায় কবে কখন ব্যবসা শুরু করতে পারব তা কোন সুযোগ নেই ৷ তাই কর্মচারীদের ছেড়ে দিয়েছি ৷

দিনমজুরি মুসলেম আকন বলেন , আমরা দিনানি দিন খাই , আমাদের কোন জাগা জমি নেই ,রাস্তার পাশে থেকে কোনমতে ছেলেমেয়ে নিয়ে দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে আছি ৷ তবে এবার আমাদের বেঁচে থাকতেই কষ্ট হচ্ছে ভেঙে দিয়েছে আমাদের ঘরবাড়ি বর্তমানে রাত্রে যাপন করি সাদা বালুতে কি করব কোথায় যাবো এই চিন্তায় দিশেহারা ৷

সমাজকর্মী কুয়াকাটা শুভ সংঘ ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম বাবু জানালেন, আমি লক্ষ করলাম যে কুয়াকাটা অধিকাংশ লোক বেকার অবস্থায় ঘুরছে এবং অনেকে কর্মের জন্য যোগাযোগ করছেন তবে এমন চলতে থাকলে ভয়ংকর রূপ নিতে পারে কুয়াকাটা৷ এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের সাথে বারবার যোগাযোগ করলেও তারা কোন বিষয় খোলাসা করে উত্তর দেয়নি ৷

আপনার মতামত লিখুন :