নাসিরনগর থেকে বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ যাচ্ছে ভারতে

প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর এখানে অসংখ্য নদনদী খাল বিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।এ সমস্ত নদ নদী ও বিলে উৎপন্ন হয় দেশীয় প্রজাতির নানা জাতের মিঠা পানির মাছ।আর এ সমস্ত মাছ এখন রাজধানী ঢাকা সহ চলে যাচ্ছ ভারতেও। সম্প্রতি একটি বেসরকারী টেলিভিশনের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে,বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাচ্ছে মাছ আর ভারত থেকে আসছে মাদক।
সরেজমিন নাছিরনগর মাছের আড়তে গিয়ে দেখা মিলে এক ভারতীয় মাছ ব্যবসায়ীর সাথে।

তিনি জানান তার নাম সচীন্দ্র দাস,বাড়ি ভারতের বিশালগড়। তিনি এ সময় ভারতে নেয়ারজন্য মাছ প্যাকেটজাত করছিরেন। তিনি জানান আখাউড়া চেকপোষ্টের মাধ্যমে এ মাছ ভারতে পাঠাবেন। নাসিরনগর মাছের আড়তে খ্বু ভোর থেকেই শুরু হয় মাছ বেচাকেনা। বেশ কয়ে দিন যাবৎ জমজমাট নাসিরনগর গুদাম ঘাটের পাইকারি মাছের আড়ৎ। আড়তদাররা জানয় নাসিরনগর ছাড়াও আরো বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এ আড়তে আসে নানা জাতের মাছ।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি কার্পু মাছ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, রুই ১৬০ থেকে ২৪০, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৬০, চিংড়ি ৫০০থেকে ৬৫০, টেংরা ৩০০, শিং ২৩০ থেকে ৩০০, মলা ১৫০, পুঁটি ১৫০থেকে ১৮০, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০, গোলসা ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নাসিরনগর বাজারের মাছ ব্যবসায়ী লিটন দাস জানায়, বর্তমানের বাজারে মাছের দাম কিছুটা কম।

কথা হয় নাসিরনগর বাজারে মাছ ক্রয়করতে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতার সাথে।তারা জানায় আমাদের নাসিরনগরের হাওড় বিলে মাছ উৎপাদন হলেও আমারা চাহিদা মত ভাল মাছ ক্রয় করতে পারিনা।দুর দুরান্তের পাইকাররা এসে সব মাছ নিয়ে যায়। বহিরাগত পাইকারদের কারণে মাছের দামও অনেকটা ছড়া বলে দাবী ক্রেতাদের।

নাসিরনগর আড়ৎদার সমিতির সভাপতি সুশীল দাস জানায়, তাদের আড়তে নাসিরনগর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী অষ্টগ্রাম, লাখাই থেকেও আসে মাছ। আর এ সমস্ত মাছ ক্রয় করতে স্থানীয় পাইকার ছাড়াও ঢাকা, ভৈরব, আশুগঞ্জ, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এমন কি ভারত থেকেও পাইকাররা এসে মাছ নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, তাদের আড়তে প্রতিদিন প্রায় ৪০/৫০ লক্ষ টাকার মাছ বেচাকেনা হয়।

আপনার মতামত লিখুন :