গ্রেফতার এড়াতে নারীদের ব্যবহার, অতঃপর…

প্রকাশিত : ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

গ্রেফতার এড়াতে নারী সদস্যদের দিয়ে হেরোইন পাচারের কাজ চালাত মাদক ব্যবসায়ীদের একটি চক্র। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে নদীপথে প্রতি মাসে ৪ থেকে ৫ কেজি করে হেরোইন নিয়ে আসে ওই চক্র। এই চক্রে ১০ থেকে ১২ জন নারী সদস্য রয়েছে।

র‌্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা এবং র‌্যাব-১২ এর একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও নওগাঁ এলাকায় থেকে ৫ কেজি ৪০০ গ্রাম হেরোইনসহ ৩ জনকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। গ্রেফতাররা হলেন- মো. শাকিবুর রহমান (৩৫), তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৩৭) এবং তাদের সহযোগী রাজিয়া খাতুন (৩৩)।

গ্রেফতারের পর তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। মঈন জানান, ‘চক্রের হোতা শাকিব ও রাজিয়া খাতুনকে’ গ্রেফতার করা হয় গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে। আর সেলিনা খাতুনকে গ্রেফতার করা হয় নওগাঁ থেকে।

গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের উদ্বৃতি দিয়ে র‌্যাব জানায়, চক্রটি একেকজন বাহকের মাধ্যমে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ এবং সাভারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম করে হেরোইন পাঠাত এবং পরিবহণের জন্য তাদের ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ দিত।

কমান্ডার মঈন বলেন, মাদকের পরিমাণ বেশি হলে শাকিব নিজের মোটরসাইকেলে করে তা সরবরাহ করত। গ্রেফতারের সময়ও তার কাছে তিন কেজির বেশি হেরোইন ছিল। সে নিজেই নওগাঁ থেকে মোটরসাইকেল করে হেরোইনের ওই চালান নিয়ে আসে। পরে তার নওগাঁর বাসায় আরও দুই কেজি হেরোইন থাকার তথ্য দেয়। তখন সেখানে অভিযান চালিয়ে তার স্ত্রী সেলিনা খাতুনের কাছ থেকে দুই কেজি হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, শাকিব এখন মাদকের কারবার করলেও একসময় চুরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এলাকায় তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরির অভিযোগ রয়েছে। প্রায় দুই বছর ধরে সে মাদক চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত। সীমান্তবর্তী এলাকায় সহযোগীর মাধ্যমে হেরোইন সংগ্রহ করে তিনি প্রথমে নিজের বাড়িতে রাখেন। পরে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করেন। কখনো কখনো বাস, লঞ্চ এবং কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমেও তিনি হেরোইন সরবরাহ করেছেন। হেরোইন বিক্রির টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করতেন তিনি।

তাদের সহযোগী রাজিয়ার বিষয়ে র‌্যাব কমান্ডার মঈন বলেন, রাজিয়া প্রায় এক বছর এই মাদকের কারবারে জড়িত। তিনি রাজশাহী, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হেরোইন সরবরাহ করেছেন। বেশ কয়েকবার শাকিবের সঙ্গেও তার মোটরসাইকেলে বিভিন্ন স্থানে হোরোইন সরবরাহ করেছেন।

আপনার মতামত লিখুন :