কোনো ইস্যু না পেয়ে শিক্ষাক্রমের পেছনে লেগেছে একটি গোষ্ঠী

প্রকাশিত : ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের শিক্ষাক্রম নিয়ে যে এত রকমের কথা বলা হচ্ছে, তার মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে মিথ্যাচার। শনিবার দুপুরে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, যেখানে ভুল আছে; সেখানে আমরা নিশ্চয়ই সংশোধন করেছি এবং করব। যখন ভুল চিহ্নিত হবে, তখনই সংশোধন হবে। কিন্তু যে মিথ্যাচার ও অপ্রচার চলছে, সেটি তো উদ্দেশ্যমূলক। কারণ শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে আর কোনো ইস্যু না পেয়ে এখন একটি গোষ্ঠী এর পেছনে লেগেছে।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের এই ডামাডোলের মধ্যে যেটা চাপা পড়ে যাচ্ছে, আপনারাও যেটাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন প্রায়, সেটা হলো নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে আমাদের পুরো পঠন ও শিখন পদ্ধতি যে সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে এবং সেটির মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা যে আনন্দময় শিক্ষা পাচ্ছে, সত্যিকার অর্থে শিখছে, যেটি তারা সারাজীবন ধারণ করবে, আত্মস্থ ও প্রয়োগ করতে পারবে প্রয়োজন মতো। মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যে গুণগত পরিবর্তন এসছে, এটি তো সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাচ্ছেন।

এর অর্থ হচ্ছে সবাই একটি ভাসা ভাসা জিনিস নিয়ে কথা বলছি। একজন চিৎকার করছেন এবং অন্যজন তার সঙ্গে গলা মিলাচ্ছেন। এর তো কোনো অর্থ নেই, বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের যে বিশাল গুণগুলো রয়েছে, সেগুলো যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, সে উদ্দেশ্যেগুলো নিয়ে কথা বলা উচিত এবং সমাজের জন্য জরুরি। কিন্তু যারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিথ্যাচার করে বেরাচ্ছে, এগুলো তাদেরকে আরো উস্কে দিবে। বরং এই শিক্ষাক্রম নিয়ে গঠনমূলক চেষ্টা করা হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের দক্ষ, মানবিক ও সৃজনশীল করা যায়, সেসব বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া দরকার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোছাম্মৎ রাশেদ আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু, জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. তারেক হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ।

এর আগে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা পর্যায়ে শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, শেখ কামাল একজন প্রধানমন্ত্রী, একজন রাষ্ট্রপতির সন্তান হয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেও ক্ষমতা ভোগ করা নয়, বরং দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের যুব সমাজকে নেতৃত্ব দিয়ে সংগঠিত করার কাজটি করেছেন। আবার অনেক সময় নেতৃত্ব না দিয়ে পেছনে থেকে কাজ সবাইকে সামনে এগিয়ে দিয়েছেন। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তীকালে আমাদের খেলাধুলা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন :