বাসস্ট্যান্ডে ময়লার অসহ্য দুর্গন্ধে অতিষ্ট দশমিনায় পথচারিসহ বাসস্ট্যান্ডের দোকানীরা

প্রকাশিত : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা।। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার নলখোলা বাসস্ট্যান্ডে ময়লার অসহ্য দুর্গন্ধে অতিষ্ট পথচারিসহ বাসস্ট্যান্ডের দোকানীরা। তবে উপজেলা কর্তৃপক্ষ বলছেন, উপজেলায় কোনো ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এখানেই ময়লা ফেলছেন স্থানীয়রা। অন্যদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আবর্জনা পরিষ্কার করছেনা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দশমিনা-ঢাকা, দশমিনা-পটুয়াখালী ও দশমিনা-বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে লোকজন গুরুত্বপূর্ন কাজে আসা যাওয়া করেন নলখোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে। দীর্ঘদিন ধরে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে এ স্থানে। ময়লার স্তূপের একটু দক্ষিণ পাশেই রয়েছে ছারছীনা দ্বীনিয়া মাদরাসা। উত্তর পাশে রয়েছে জামে মসজিদ। স্ট্যান্ডে সবার সুবিধার্থে সরকারিভাবে বসানো হয়েছিল বাথরুম ও টিউবওয়েল। উপজেলা সদরে ঢোকার দুটি প্রবেশ পথের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। প্রতিদিন যাতায়াত করে শত শত শিক্ষার্থী, রোগী, ডাক্তার, চাকরিজীবী, কর্মচারী ও পথচারীরা। বর্জ্যরে দুর্গন্ধের অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন সবাই। দীর্ঘদিন ধরে ফেলা এসব বর্জ্য একদিকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে মানুষের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকিও রয়েছে।

ছারছীনা দ্বীনিয়া মাদরাসা শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে ওই সড়ক দিয়ে প্রতি শুক্রবার জুমা পড়তে গেলে ময়লা-আবর্জনায় দুর্গন্ধে অতিষ্ট হতে হয়। এ পথে যাওয়া-আশায় আমাদের খুব কষ্টর। তাই উপজেলা প্রশাসন যদি বর্জ্যগুলো সরিয়ে দেন তাহলে দুর্ভোগ লাঘব হয়।

পথচারী মো. রিপন চৌকিদার বলেন, সড়ক ঘেঁষে ময়লার স্তূপ গড়ে উঠেছে। নাকে-মুখে হাত দিয়ে নিঃশ্বাস বন্ধ করেও দুর্গন্ধ এড়ানোর উপায় নেই। উপজেলা প্রশাসনের কাছে এসব বর্জ্য অপসারণের দাবি জানাই।

নলখোলা স্ট্যান্ডের দোকানী মো. ইলিয়াছ হোসেন বলেন, সড়কের পাশে খোলা জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে পুরো এলাকার ময়লার ভাগাড় বানানো হয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের দুর্গন্ধের মধ্যেই দোকান করতে হয়।

উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন জোমাদ্দার বলেন, উপজেলা উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বর্ধন পরিকল্পনার সময় এসব বিষয়ে নজরে রাখা উচিত। অথচ সড়কের পাশে খোলা জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে পুরো এলাকার ময়লার ভাগাড় বানানো হয়েছে। বাসস্ট্যান্ড যেন দুর্গন্ধে উম্মুক্তের প্রাঙ্গণ হয়ে উঠেছে। তাই উপজেলা কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রæত বর্জ্য অপসারণের দাবী জানাই।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, উপজেলায় ময়লা ফেলার জন্য নিজস্ব কোনো ভাগার কিংবা ডাম্পিং স্টেশন নেই। তবে বর্জ্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জায়গা নির্ধারণ করা হবে।

 

আপনার মতামত লিখুন :