নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উল্টো পথে যান চলাচলে বাধা দেয়ায় হামলার শিকার হয়েছেন মো. সুলতান আহমেদ নামে নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবল। হামলার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করেছে একটি পক্ষ। এ ঘটনায় হামলাকারী নিলুফা বেগম (৩৪) নামের এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। সোমবার (৬ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ট্রাফিক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইনস্পেক্টর একেএম শরফুদ্দিন।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক কনস্টেবল সুলতান আহমেদ। এ সময় উল্টোপথে সাইনবোর্ড থেকে শিমরাইলগামী একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা আসতে দেখে তিনি থামতে বললে রিকশাটি দ্রুত থামিয়ে দেন চালক। এ সময় নিলুফা নামের ওই রিকশা যাত্রীর মোবাইল ফোনটি মহাসড়কে ছিটকে পড়ে ভেঙ্গে যায়। পরে ওই নারী তার মোবাইলের জরিমানা আদায় করতে কনস্টেবল সুলতানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।

এ সময় তার কলার ধরে টানা-হেঁচড়া করেন। এ সময় ওই নারীর পক্ষে কয়েকজন লোক এসে পুলিশ কনস্টেবল সুলতান আহমেদকে মারধর করতে থাকেন। এ সময় ওই নারীও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান। এ সময় তিনি ট্রাফিক কনস্টেবলের মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসে পুলিশ কনস্টেবলকে উদ্ধার করেন এবং ওই নারীকে আটক করেন। এ সময় অন্য হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ এসে আটককৃত নিলুফা বেগমকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান।

এ ব্যাপারে কাঁচপুর হাইওয়ে (শিমরাইল) থানার ট্রাফিক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইনস্পেকটর একেএম শরফুদ্দিন জানান, আহত পুলিশ কনস্টেবল সুলতান আহমেদ নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই দিলিপ কুমার বাদী হয়ে এ ওই নারীসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত নিলুফাকে আদালতে পাঠিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।