বিয়ের প্রলোভনে ৪ বছর শারীরিক সম্পর্ক, ঘরে আটকে ৯৯৯-এ কল প্রেমিকার

প্রকাশিত : ২৫ মার্চ ২০২৩

চাকরির সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ের প্রলোভনে চার বছর ধরে ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছেন সাইফুল। শুধু তাই নয়, ওই নারীর কাছ থেকে আট লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই নারীকে তালাক দেন তার স্বামী। এর মধ্যে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান সাইফুলও। একপর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই নারীর বাসায় গিয়ে ফের ধর্ষণচেষ্টা করলে তাকে ঘরে আটকে রাখেন। পরে জাতীয় জরুরি পরিষেবা ৯৯৯-এ কল দেন ওই নারী।

ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের টঙ্গীর আউচপাড়া এলাকায়। পরে ৯৯৯-এ কল পেয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার এসআই তাইমুদ্দিন অভিযুক্ত সাইফুলকে গ্রেফতার করেন। অভিযুক্ত সারোয়ার হোসেন সাইফুল নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার আলমপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী ও তার সহকর্মী সারোয়ার হোসেন সাইফুল টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় আপনজন নামক একটি এমএলএম কোম্পানিতে চাকরি করতেন। চাকরির সুবাদে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ চার বছর ধরে সাইফুল ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখালে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে আবদ্ধ হন তারা। সাইফুল বিয়ের কথা বলে ওই নারীর কাছ থেকে আট লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে গত দুই মাস আগে ওই নারীকে তালাক দেন তার স্বামী।

পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সাইফুল অস্বীকৃতি জানান। এরপর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাইফুল বাসায় এসে ওই নারীকে ফের ধর্ষণচেষ্টা করেন। এ সময় তিনি সাইফুলকে ঘরে আটকে বাইর থেকে দরজা তালাবদ্ধ করে দেন। পরে জাতীয় জরুরি পরিষেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে টঙ্গী পশ্চিম থানার এসআই তাইমুদ্দিন অভিযুক্ত সাইফুলকে গ্রেফতার করেন।

স্থানীয়রা বিষয়টি সমাধান করতে দিনভর চেষ্টা করলেও শুক্রবার বিকালে মামলা দায়ের শেষে বিশেষ ব্যবস্থায় অভিযুক্তকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত সাইফুলকে শুক্রবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

আপনার মতামত লিখুন :